সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে ‘চিনে বাদাম’-এর নায়ক-নায়িকা যশ দাশগুপ্ত, এনা সাহার ‘লুক’।
রবিবার থেকে আনন্দপুরের একটি বাড়িতে শ্যুট শুরু হয়েছে ‘চিনে বাদাম’ ছবির। সেটে আপাতত ঋষভ সেনগুপ্ত আর তৃষার পরিবার মুখোমুখি। সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে ছবির নায়ক-নায়িকা যশ দাশগুপ্ত, এনা সাহার ‘লুক’। শিলাদিত্য মৌলিক পরিচালিত নতুন ধারার ছবি নিয়ে কী ভাবছেন প্রযোজক-নায়িকা?
প্রশ্ন: প্রেমের ছবি। নায়ক যশ দাশগুপ্ত। মুক্তির আগেই এনা সাহার ‘চিনে বাদাম’ হিট?
এনা: (হেসে ফেলে) সবার কথা শুনে মনে হচ্ছে, ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রী ভুল বাছিনি। রোম্যান্টিক নায়ক হিসেবে যশ জনপ্রিয়। ওর ছবির প্রায় সব গান দর্শক-শ্রোতার মুঠোফোনে বাজে। এটা বড় প্রাপ্তি।
প্রশ্ন: ‘এসওএস কলকাতা’-য় প্রযোজক, যশের সহ-অভিনেত্রী ছিলেন। শিলাদিত্য মৌলিকের এই ছবিতে প্রযোজনার পাশাপাশি আপনিই যশের নায়িকা! দ্বিগুণ প্রাপ্তি, না চাপ?
এনা: বাড়তি পাওনা, হাল্কা চাপ দুটোই। তবে ছবি দেখতে দেখতে দর্শকেরা স্বীকার করবেন, ঋষভ সেনগুপ্ত এবং তৃষা চরিত্রে আমাদেরই মানিয়েছে। জোর করে আমরা ঢুকে পড়িনি। তৃষা কিন্তু অনেকটাই আমার মতো। আর প্রযোজনার চাপ আমার থেকেও আমার মা বেশি সামলান। আমি ওঁর কাঁধে দায়িত্ব দিয়েই খালাস। এক বার ফ্লোরে ঢুকে গেলে প্রযোজনার কথা মাথায় থাকে না।
প্রশ্ন: কোন কোন বিষয়ে আপনার আর তৃষার মিল রয়েছে?
এনা: তৃষা আমার মতোই সাধারণ, ঘরোয়া মেয়ে। ফোন, নেটমাধ্যম থেকে একটা সময়ের পরে দূরে থাকতে ভালবাসে। এ বিষয়ে আসক্তি নেই তার। আমাদের বাড়িতেও কিন্তু রাত ১০টায় সবার ফোন একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে চার্জে বসিয়ে দেওয়া হয়। আমরা সবাই ফোন থেকে তখন দূরে। ‘চিনে বাদাম’ এই বার্তাটাই দিতে চাইছে, অতিরিক্ত আসক্তি থেকে দূরে থাকাই ভাল। এই বার্তা দিতে গিয়ে পর্দায় ঋষভ-তৃষার জীবনে বড় বদল আসবে।
প্রশ্ন: সদ্য আপনাদের লুক সামনে এসেছে। অনুরাগীদের কী প্রতিক্রিয়া? আপনার কেমন লাগছে?
এনা: কিছু একঘেয়ে মন্তব্য আছেই, ‘আপনি আর কত মোটা হবেন’-জাতীয়। ওগুলো বাদ দিলে বাকিরা কিন্তু নতুন জুটিকে খুশি মনেই মেনে নিয়েছেন। কেউ নেটমাধ্যমে লিখেছেন, ‘গোল গোল চশমায় মিষ্টি লাগছে আপনাকে।' কেউ বলছেন, ‘পর্দায় দেখার জন্য অপেক্ষায় আছি।' এ সব মতামত অবশ্যই উৎসাহিত করছে। আমার নিজস্ব ধারণা, লম্বা নায়কের পাশে তুলনায় ‘খাটো’ নায়িকা বেশ মিষ্টি ব্যাপার। এই ধরনের জুটি যথেষ্ট জনপ্রিয়ও হয়। তাই শুরুতে যশের পাশে দাঁড়িয়ে একটু অস্বস্তি লাগলেও এখন সেটা কেটে গিয়েছে (হাসি)।
প্রশ্ন: যাঁরা ‘মোটা’ বলে কটাক্ষ করছেন, তাঁদের জবাব দিচ্ছেন না?
এনা: দিচ্ছি তো আমার মতো করে। সাড়ে ১০ কেজি ওজন ঝরিয়েছি। ৭০ কেজি থেকে এখন আমি ৫৯ কেজি! আরও ঝরানোর ইচ্ছে আছে। দেখা যাক।
প্রশ্ন: এটা বাহ্যিক বদল। অন্য ধারার ছবির জন্য অভিনয়ও বদলাচ্ছেন?
এনা: আমি সব ছবির আগেই সেই চরিত্র নিয়ে পড়াশোনা করি, নিজের মতো করে পরিশ্রম করি। এ বার যশও টিপস দিচ্ছে। দৃশ্যের আগে আমরা আলোচনা করে নিচ্ছি। যশ আর আমি খুব ভাল বন্ধু। ফলে, রসায়ন আপনা থেকেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া, যশ ওর কাজ নিয়ে খুবই সিরিয়াস। নিজেও বার বার অভ্যাস করে নেয়। ফলে, যেটা হবে খুবই ভাল হবে।
প্রশ্ন: রাজনীতিতে এসে ‘অভিনেতা’ যশ কি অনেকটা বদলে গিয়েছেন?
এনা: একেবারেই না। আমি গত বছর ‘এসওএস কলকাতা’-র দৌলতে ওকে কাছ থেকে দেখেছি। এ বছর ‘চিনে বাদাম’-এর সূত্রে ফের এক সঙ্গে। যশ যেমন ছিল, তেমনই আছে। আগের মতোই মজা করে। খুনসুটি করে। সহজ পরিবেশ তৈরি করে দেয়। নিজের মত জানায়। অন্যেরটাও শোনে। এতে কাজ ভাল হয়।
প্রশ্ন: ঈশানের মাসি হলেন না পিসি?
এনা: মাসি-পিসি দুটোই হয়েছি। (একটু ভেবে) না, মাসিই হয়েছি। ছোট মাসি।
প্রশ্ন: বোনপো-র মুখ দেখলেন কী দিয়ে?
এনা: কাজের চাপে এখনও ঈশানের কাছে গিয়েই উঠতে পারিনি! খুব খারাপ লাগছে। কিছু পাঠানোও হয়নি। শ্যুট সামলে এ বার ওই দিকটাও দেখতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার তরফ থেকে কবে শুভ খবর দেবেন?
এনা: যে কোনও দিন! (হাসি) যখনই একঘেয়ে লাগবে, বাগদানের কথা ঘোষণা করব। তার পর বিয়ে... সব কিছু যেমন হয় তেমনই হবে। আপাতত কাজে ব্যস্ত। ওটাই করতে চাই। এখনও একেঘেয়েমি আসেনি।
প্রশ্ন: ‘যশরত’ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। আপনি অনুপ্রাণিত?
এনা: মা হতে কোন মেয়ে না চায়! অবশ্যই মা হব। তবে সময়ে হব। আরও পাঁচ বছর যাক। সন্তান, সংসার সব করব। এখনও আমি যথেষ্ট ছোট।