এলভিশ যাদব। ছবি: সংগৃহীত।
জনপ্রিয় ইউটিউবার ও ‘বিগ বস্ ওটিটি ২’ জয়ী এলভিস যাদব। গত বছর নভেম্বর মাসে তাঁর নামে সাপের বিষ পাচারের অভিযোগ ওঠে। মার্চ মাসে গ্রেফতারও হতে হয় তাঁকে। যদিও জামিনে মুক্ত হয়ে যান তিনি। এ বার আরও এক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হল তাঁর নাম। বেআইনি অর্থ লেনদেন ও পাচারে নাম জড়াল এলভিশের। শীঘ্রই তাঁকে তলব করবে ইডি। লখনউ-এর জোনাল অফিস থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একটি নির্দেশও আসতে পারে।
নয়ডার গৌতম বুদ্ধ নগর থানায় এলভিশের নামে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। তাঁর ভিত্তিতে চার্জশিটও তৈরি হয়। , ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’ এর অধীনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের লখনউ ইউনিট ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গত বছর ৩ নভেম্বর পুলিশ নয়ডার একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে হানা দিয়ে ৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তাদের থেকে ৫টি কেউটে সহ মোট ৯টি সাপ ও ২০ মিলিলিটার বিষ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু সাপের বিষগ্রন্থি ও দাঁত ছিল না। যদিও পুলিশ জানিয়েছিল, সেখানে তখন এলভিস উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু সাপের বিষ আদানপ্রদান নিয়ে তাঁর সঙ্গে অন্যদের যে যোগাযোগ ছিল, তদন্তে নেমে তা জানতে পারে পুলিশ। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার চেয়ারপার্সন তথা বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধীও এলভিসের গ্রেফতারের দাবি তোলেন। যদিও এর আগে পুলিশের তরফে একাধিক বার এলভিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে চলতি বছরের শেষে গ্রেফতার হন তিনি। সে সব তোয়াক্কা না করে তার পরেই জামিনে মুক্ত হয়ে দামি দামি গাড়ি কিনেছেন তিনি। তার পরই এই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তাঁর।