মন নিয়ে কাছাকাছি গৌরব-দেবলীনা। সংগৃহীত চিত্র।
গত রাত থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। শহর যেন জলছবি। যাঁরা বাড়িতে, তাঁরা ভেজা দিনে ভালবাসায় ডুব দেওয়ার সুযোগ কি চট করে ছাড়েন? সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গৌরব চট্টোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমারের একমুঠো সাদাকালো ছবি যে সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। শুধুই ভালবাসাবাসি? ছবি তাঁদের রাগ-অভিমান-ঝগড়া হয়ে সন্ধিপর্ব পর্যন্ত তুলে ধরেছে! প্রকৃত ঘটনা কী? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন সরাসরি যোগাযোগ করেছিল নায়িকা-নৃত্যশিল্পী দেবলীনার সঙ্গে। হাসিমাখা জবাব এসেছে, ‘‘ছোট ছবি ‘আনব্রোকেন’-এর কিছু দৃশ্য এগুলো।’’
দেবলীনা আরও জানিয়েছেন, পরিচালক অয়ন শীল ছবিতে মানসিক সুস্থতার কথা তুলে ধরেছেন। ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ঊষসী সেনগুপ্ত। ছবিতে তিনি, গৌরব, তুহিনা দাস, সৌরসেনী মৈত্র, ঋষভ বসুর মতো অভিনেতারা রয়েছেন। গৌরব-দেবলীনা পর্দাতেও দম্পতি। দাম্পত্যে ঝগড়া, ভুল বোঝাবুঝি, মিটমাট— থাকবে। তারই কিছু মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি।
এমন ঝগড়া, মুখ দেখাদেখি বন্ধ, তার পর আবার ভাব হয় গৌরব-দেবলীনার? প্রশ্ন রাখতেই নয়িকার দাবি, ‘‘হয় তো। উত্তেজিত অবস্থায় ছবিতে যেমন করছি, ঠিক সে ভাবেই হাত-পা ছুড়ে ঝগড়াও করি। তার পর আক্ষরিক অর্থে হয়তো পরস্পর মুখ ঘুরিয়ে বসি না। কিন্তু দূরত্ব বাড়ে সাময়িক।’’ তখন কে মান ভাঙায়? তাঁর মতে, বিয়ের আগে, কে প্রথম মিটমাট করবে সেটা নিয়েও একপ্রস্ত চলত। বিয়ের পর থেকে সেই পর্বে ইতি। এখন ঝগড়া গিয়ে অভিমান এসেছে। যার মাথা আগে ঠান্ডা হয়, সে-ই কাছে টেনে নেয়।
ভেজা দিনে ভালবাসা বাড়ে, না আড়ি? দেবলীনার যুক্তি, ‘‘বাড়িতে থাকলে কফি, রবীন্দ্রসঙ্গীত আর কাছাকাছি থাকা হয়েই যায়। তবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে চারিদিকে যা অবস্থা, তাতে ভালবাসা আসছে না! যাঁরা বিপদে পড়েছেন, তাঁদের কথা ভেবে মনখারাপ করছে। জলবন্দি শহরে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ কানে এসেছে।’’