ছোট পর্দার প্রযোজক-ফেডারেশন দ্বন্দ্ব যেন মেটার নয়! খবর, গত সপ্তাহেই নাকি মতপার্থক্য মেটাতে মুখোমুখি বসেছিল উভয় পক্ষ। কিন্তু আলোচনা নাকি ভেস্তে যায়। তার পরেই সোমবার পারিশ্রমিক নিয়ে ফের কাজিয়া মাথাচাড়া দিতেই সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় সুশান্ত দাসের ধারাবাহিক ‘তিতলি’র শ্যুট। পরে সুশান্ত আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ‘‘সাময়িক মতবিরোধ হয়েছিল। সব মিটে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কাজ চলছে।’’
টেলি পাড়ার অন্দরের খবর কিন্তু অন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালকের দাবি, ফেডারেশন এবং প্রযোজকদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ রয়েইছে। তার মধ্যে অন্যতম, লকডাউনে পারিশ্রমিক দেওয়া নিয়ে বিরোধ। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে স্টুডিয়োপাড়ায় ফের লকডাউন ঘোষণার পরেও শিল্পীদের মতোই কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক দেওয়া বন্ধ করেননি প্রযোজকেরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে ফেডারেশন, গিল্ডের ভয়ানক আপত্তি ছিল। দুই সংগঠনের দাবি, কাজ না করে সংগঠনের সদস্যরা অর্থ সাহায্য নেবেন না। তার পরেও অ্যাকাউন্টে পারিশ্রমিক ঢুকলে তা ফেরত দিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় দুই সংগঠন।
সেই সময় প্রযোজকেরা বলেছিলেন, পরে পারিশ্রমিক থেকে এই অর্থ কেটে নেওয়া হবে। তাতে সায় ছিল ফেডারেশনেরও। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটতেই দেখা গেল অন্য ছবি। ওই পরিচালকের বক্তব্য, অতি সম্প্রতি ‘তিতলি’ ধারাবাহিকের প্রযোজক, পরিচালক সুশান্ত দাস কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক থেকে নির্দিষ্ট অর্থ কেটে নিতেই বেঁকে বসেন কলাকুশলীরা। সোমবার আচমকাই তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেন।
এই ঘটনায় ফেডারেশনের পদক্ষেপ কী? সংগঠনের সম্পাদক অপর্ণা ঘটক আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ‘‘প্রযোজকদের সঙ্গে বৈঠকের আগে আলাদা করে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলবে না সংগঠন। যা সমস্যা হচ্ছে বা আগামী দিনেও হবে সবই দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার পর সেই সিদ্ধান্তের কথা জানবে গণমাধ্যম।’’ পাশাপাশি অপর্ণা এও জানান, ‘তিতলি’র শ্যুট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোনও খবর তিনি পাননি। এই ধরনের কোনও ঘটনা আদৌ ঘটলে সেটি নিয়েও আলোচনায় বসবে সংগঠন।