Celeb Gossip

‘ভালবাসা সরে গেলে আদৌ বন্ধুত্ব থাকে?’ আনন্দবাজার অনলাইনে রাইহানকে কি প্রশ্ন ছুড়লেন তমা?

সম্পর্কে নাকি দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে! তবু তাঁরা ভাল বন্ধু। নিশ্চয়ই একসঙ্গে কাজও করবেন? শুধু আনন্দবাজার অনলাইনকে উত্তর দিলেন তমা মির্জা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:২৩
Image Of Toma Mirza, Raihan Rafi

তখন সুখের সময়! (বাঁ দিকে) তমা মির্জ়া, রাইহান রাফী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

‘অচিন পাখি’ দিয়ে আলাপ। ‘৭ নম্বর ফ্লোর’-এর সেটে তাঁরা নাকি মানসিক ভাবে আরও কাছাকাছি। তৃতীয় ছবি ‘সুড়ঙ্গ’ প্রেমের সুবাস ছড়িয়ে দিয়েছিল দুই বাংলার বিনোদন দুনিয়ায়। তখনই গুঞ্জন, প্রেমে পড়েছেন পরিচালক রাইহান রাফী। প্রেমিকা তাঁরই তিনটি ছবির নায়িকা তমা মির্জা। বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন একাধিক বার প্রশ্ন করেছিল বাংলাদেশি পরিচালককে। রাইহান ‘খুব ভাল বন্ধু’র তকমা দিয়েছিলেন সেই সম্পর্ককে। হালফিলের চর্চা, সেই তকমায় নাকি গ্রহণ লেগেছে!

Advertisement

ও পার বাংলায় জোর গুঞ্জন! প্রেম ভেঙে খানখান, কেবল নাকি ফ্রেমেই আছেন রাইহান-তমা?

এই প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন ফের যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল ‘তুফান’ পরিচালকের সঙ্গে। ফোন বেজে গিয়েছে। তিনি সাড়া দেননি। বদলে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় নিজেকে উজাড় করেছেন তমা। দুই বাংলার অনুরাগীরা জানার জন্য মুখিয়ে, “প্রেমে আছেন আপনারা?” প্রশ্ন রাখতেই তমার পাল্টা প্রশ্ন, “উত্তর দেব। তার আগে বলুন, ভারত কেমন আছে?” কুশল বিনিময়ের পরে তাঁর বক্তব্য, রাইহানের সঙ্গে প্রেমে ছিলেন, এমন কথা কোনও দিন তিনি অন্তত বলেননি। ফলে, প্রেমে নেই, এমনটাই বা বলেন কী করে?

কথিত, যা রটে তার কিছুটা নাকি ঘটে? তমা জবাবে ফের কিছু প্রশ্ন রেখেছেন, “আমার নিজের দেশের সাংবাদিক বন্ধুরাও এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। জবাব দিতে পারিনি। কারণ, আমার কাছেই জবাব নেই।” তাঁর যুক্তি, কেবল একটা উত্তর তিনি দিতে পারেন, রাইহান একাধিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভাল বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে। পরিচালকের এই বক্তব্যে তাঁর জবাব, “ভালবাসা সরে গেলে বন্ধুত্ব থাকে? নাকি নতুন করে বন্ধুত্ব হতে পারে? সত্যিই আমার জানা নেই।” তাঁর বিশ্লেষণ, ‘বন্ধুত্ব’ শব্দটির পরিধি অনেক। তার পরেও তিনি মনে করেন, সেখানেও সীমারেখা থাকে। বন্ধুত্ব থেকে ভালবাসা হতে পারে। কিন্তু সেই ভালবাসায় টান ধরলে সঙ্গে সঙ্গে অন্তত বন্ধুত্বে ফেরত আসা যায় না। তার জন্য দুই পক্ষকেই মানসিক ভাবে যথেষ্ট পরিণত হতে হয়। নিজেদেরও সময় দিতে হয়। তমা আপাতত নিজেকে সময় দিচ্ছেন। কে, কী বলল— কানে তুলছেন না।

পেশাদার দুনিয়া মনের কথা বোঝে না। সেখানে প্রেম-ভালবাসার বদলে কাজ, পেশাদারিত্বের কদর বেশি। সেই জায়গা থেকে কি রাইহানের পরিচালনায় আগামীতে কাজ করবেন?

আরও একবার ব্যতিক্রমী জবাব দিয়েছেন তমা। তাঁর কথায়, “আমিও পেশাদার। মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে কাজ করেছি। কিন্তু এর থেকেও বেশি কিছু মায়ের সঙ্গে ঘটে গেলে, তখন আমি কাজ করতে পারব না। একই ভাবে, ভালবাসা মুছে গেলেও সেই মানুষটির সঙ্গে আগের মতো খুব স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে যাব— সেটাও পারব না।” একটু থেমে যোগ করেছেন, “আমি অবশ্যই অভিনেত্রী, কিন্তু এতটাও পেশাদার নই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement