Puja Release 2024

ফেডারেশনের কোপে নিষিদ্ধ রাহুল! পরিচালকের পুজোর ছবির ভবিষ্যৎ কী?

দিন কয়েক আগে রাহুলের পুজোর ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হয় প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের অফিসে। কথা ছিল, চলতি মাসেই শুরু হবে শুটিং। আগামী তিন মাস পরিচালক কাজ করতে না পারলে ছবির ভবিষ্যৎ কী?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৪ ১৪:০৩
Image Of Prosenjit Chatterjee, Rahool Mukherjee, Anirban Bhattacharya

(বাঁ দিকে) প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (মাঝখানে), রাহুল মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।

দিন তিনেক আগে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের দফতরে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পুজোর ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। এই খবর আনন্দবাজার অনলাইন প্রথম জানিয়েছিল। চলতি মাসের শেষ থেকে শুটিং শুরু হবে, সব ঠিক। ২০ তারিখ শনিবার আকস্মিক দুঃসংবাদ। এ দিন ফেডারেশনের থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফেডারেশনের নিয়ম ভেঙেছেন পরিচালক। যার জেরে রাহুলকে আগামী তিন মাস নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সংগঠন। এই নির্দেশ শনিবার থেকে চালু হয়েছে। থাকবে অক্টোবরের ১৯ তারিখ পর্যন্ত। এই নির্দেশিকা বহাল থাকলে, পুজোর ছবি পরিচালনা করতে পারবেন না রাহুল। খবর ছড়াতেই টলিউডের চর্চা, তা হলে এসভিএফের পুজোর ছবির ভবিষ্যৎ কী? শোনা যাচ্ছে, এই ছবির চিত্র্রগ্রাহক সৌমিক হালদারের কাঁধে নাকি পরিচালনার দায়িত্ব আসতে চলেছে। রাহুলের বিষয়টির মীমাংসা না হলে সৌমিককেই হয়তো দক্ষিণী ছবি ‘গরুড়ন’-এর বাংলা সংস্করণের পরিচালনা করতে হবে।

Advertisement

ফেডারেশনের তরফ থেকে শনিবার জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে এসেছে। সেখানে লেখা, “চিরন্তন মুখোপাধ্যায় (রাহুল) ফেডারেশনের নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করেছেন। সেই সূত্রে ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (ডিএইআই) তাকে শুটিং সংক্রান্ত কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, রাহুল মাসখানেক আগে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে নাকি কয়েক জন কলাকুশলীও গিয়েছিলেন। গুঞ্জন, তাঁরা ফেডারেশনকে না জানিয়ে সেখানে নাকি শুটিং করেছেন। ইতিমধ্যেই ডিএইআই-এর পক্ষ থেকে পরিচালক সুদেষ্ণা রায় এবং সুব্রত সেন রাহুলের কাছে বিষয়টির সবিস্তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন। অভিযুক্ত পরিচালক তাঁর বাংলাদেশ সফরের প্রকৃত কারণ জানিয়ে লিখিত জবাবও দিয়েছেন। সেই তথ্যও আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে রয়েছে।

Image Of  Federation Notice to Director Rahul Mukherjee

পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে ফেডারেশনের নির্দেশ। ছবি: সংগৃহীত।

রাহুল লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, তিনি কোনও ছবির শুটিং করতে বাংলাদেশে যাননি। নতুন কাজ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। সেই তালিকায় রয়েছে তাঁর ‘লহু’ ছবিটি। যা নিয়ে তিনি প্রাথমিক স্তরে কথা বলেছেন মাত্র। এর বেশি আর কিছুই নয়। পরিচালক আরও জানিয়েছেন, তাঁর সম্পর্কে ছড়ানো খবর ভিত্তিহীন। রাহুলের ছবির মুখ্য আকর্ষণ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য। রয়েছেন কলকাতার প্রথম সারির একাধিক অভিনেতা। তার উপরে এসভিএফের পুজোর ছবি। প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা কী পদক্ষেপ করছেন?

তাঁর অভিনীত কোনও ছবি সমস্যার মুখে পড়লে অনেক সময়েই মীমাংসা করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন প্রসেনজিৎ। তিনিও কি আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন দুই পক্ষকে? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল শ্রীকান্ত এবং প্রসেনজিতের সঙ্গেও। তাঁরা ফোনে অধরা। ২১ জুলাই শাসকদলের ধর্মতলায় কর্মসূচি মঞ্চে যোগদানের কারণে কথা বলতে পারেননি ডিএইআই-এর সম্পাদক সুদেষ্ণা রায়। একই কারণে ফোনে পাওয়া যায়নি ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকেও।

Image Of DEAI and Rahool Mukherjee's official mail

ডিইএআই এবং রাহুল মুখোপাধ্যায়ের কথোপকথনের ছবি। ছবি: সংগৃহীত।

গত বছর এসভিএফের পুজোর ছবি সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘দশম অবতার’ বক্স অফিসের নিরিখে সফল। কিন্তু এ বছর তাদের পুজোর ছবি নিয়ে গোড়া থেকেই গন্ডগোল। প্রথমে কথা ছিল পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায় পুজোয় বড় পর্দায় ‘একেনবাবুকে’ আনবেন। নির্দিষ্ট সময়ে রেকিতে বেরোতে না পারায় সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়। এর পরেই শোনা যায়, রাহুলকে পুজোর ছবি পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চলেছে প্রযোজনা সংস্থা। ইতিমধ্যেই এই সংস্থার হয়ে সিরিজ় ‘দাদুর কীর্তি’ পরিচালনা করেছেন তিনি। শনিবার নতুন বিপত্তি সেখানেও। আপাতত সোমবারের অপেক্ষায় টলিউড। সপ্তাহের প্রথম দিন সমস্যার সমাধান হতে পারে, এমনটাই আশা সকলের।

আরও পড়ুন
Advertisement