রাজ কপূরের সঙ্গে করিশ্মা, ঋদ্ধিমা ও করিনা
১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৬ দিনের ব্যবধানে কপূর পরিবারে ২ কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। ঋষি কপূরের বড় মেয়ে ও রণধীর কপূরের ছোট মেয়ে। সেই সময়ে গণেশ চতুর্থী চলছিল। কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক রাজ কপূর তাঁর দুই নাতনির নামকরণ করেন, ঋদ্ধিমা ও সিদ্ধিমা। উৎস, গণেশের দুই স্ত্রীর নাম, ঋদ্ধি ও সিদ্ধি।
নীতু কপূর তাঁর প্রথম সন্তানের নাম রাখেন রাজ কপূরের কথা মতো। কিন্তু ববিতা ছোট মেয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘করিনা’ রাখেন। ববিতা যখন করিনাকে নিয়ে গর্ভবতী, সে সময়ে তিনি লিও তলস্তয়ের লেখা ‘অ্যানা ক্যারেনিনা’ পড়ছিলেন। সেই বইয়ের শিরোনাম থেকে ‘করিনা’ নামটি মাথায় আসে ববিতার। সেখান থেকেই করিশ্মার ছোট বোনের নাম রাখা হয় করিনা।
আর বেবো? এই নামের কোনও মানে নেই। রণধীর ও ববিতা চেয়েছিলেন তাঁদের দুই কন্যাকে মজাদার ডাকনাম দেবেন। যার জন্য করিশ্মা লেলো আর করিনা হলেন বেবো। তাও ‘লেলো’ শব্দের একটি অর্থ রয়েছে। করিনা নিজেই ডিজাইনার মণিশ মলহোত্রার চ্যাট শো-তে গিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘‘সিন্ধিদের একটি পছন্দের খাবার হল লোলি। যার অর্থ মিষ্টি রুটি। সেখান থেকে লেলো। কিন্তু আমার ডাকনামটি একদমই আচমকা মাথায় আসা একটি শব্দ। আর কিছুই না।’