দেব। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার প্রকাশ্যে এল দেব অভিনীত নতুন ছবি ‘প্রধান’-এর ট্রেলার। পরিচালক অভিজিৎ সেনের সঙ্গে জুটি বেঁধে টলিউড সুপারস্টারের এটা তৃতীয় ছবি। শুক্রবার ছবির ট্রেলার প্রকাশ উপলক্ষে মধ্য কলকাতার এক অভিজাত ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ছবির কলাকুশলীরা।
চলতি বছরে ব্যোমকেশ এবং বাঘা যতীন রূপে বড় পর্দায় হাজির হয়েছেন দেব। বছর শেষে হ্যাটট্রিক নিয়ে কী ভাবছেন তিনি? আনন্দবাজার অনলাইনকে দেব হেসে বললেন, ‘‘জানি না হ্যাটট্রিক সফল হবে কি না! প্রত্যেক বার দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি। এটুকু বলতে পারি, আমরা খুবই আশাবাদী।’’
বছর শেষে ছবির মুক্তি। এ দিকে সেই সময় বক্স অফিসে একাধিক ছবির ভিড়। বলিউডে থাকছে শাহরুখ খান অভিনীত ‘ডাঙ্কি’। দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস নিয়ে আসছেন ‘সালার’। এ দিকে বাংলায় ‘প্রধান’-এর বিপরীতেই মুক্তি পাবে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ছবি ‘কাবুলিওয়ালা’। শো পাওয়া নিয়ে প্রত্যেকেরই সমস্যা। দেব কী ভাবছেন? দেব বললেন, ‘‘আমরা জায়গা ছেড়ে দিলে বাংলা ছবি কোনও দিন মাথা উচুঁ করে বাঁচতে পারবে না! ভয় পেয়ে পিছু হটতে রাজি নই। আমি পিছিয়ে গেলে আরও অনেকে লড়াই করার সাহস হারাবে। যা হবে দেখা যাবে।’’ ‘টনিক’ এবং ‘প্রজাপতি’-র পর ‘প্রধান’ নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী দেব? অভিনেতা কথায় , ‘‘আমার ছবি একটা হলে চার জন দেখে তাঁদের ভাল লাগলে আমার বিশ্বাস, তাঁরা আরও ৪০০ জন দর্শককে ডেকে আনবেন।’’ কথা প্রসঙ্গেই তিনি বললেন, ‘‘আমার মনে আছে ‘টনিক’-এর সময় কাকাবাবুর মুক্তি ওরা পিছিয়ে দিয়েছিল। আমি নিজে সৃজিতকে (মুখোপাধ্যায়) অনুরোধ করেছিলাম ছবির মুক্তি না পিছোতে। কারণ, আজকে আমরা জায়গা ছাড়লে ভবিষ্যতে আমরাই জায়গা পাব না।’’
গত বছর মুক্তির পর ‘প্রজাপতি’ নন্দনে শো না পাওয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের গুঞ্জন ছিল, মিঠুন বিজেপির সদস্য বলেই প্রজাপতিকে খেসারত দিতে হয়েছে। ‘প্রধান’ নিয়ে কী ভাবে নিজের রণকৌশল সাজাচ্ছেন দেব? অভিনেতা বললেন, ‘‘আমি অতীত নিয়ে ভাবি না। ছবিটা ব্লকবাস্টার। ওই অধ্যায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ বার নতুন ছবি, তাই নতুন ভাবনা।’’