১০ বছর পরে এই ধারাবাহিক দিয়েই অভিনয়ে ফিরেছিলেন দেবশ্রী। সম্প্রচারণের আগে থেকেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রীকে। কখনও তাঁর অভিনীত ছবির জনপ্রিয় গান ‘কলকাতার রসগোল্লা’-র তুলনা টেনে বলা হয়েছে দেবশ্রী নাকি ‘বাসি রসগোল্লা’!
দেবশ্রী রায়
হেরে গেলেন দেবশ্রী রায়? জবাব নেই। দেবশ্রীর ফোন হয় ব্যস্ত, নয় বেজে যাচ্ছে। এ দিকে টেলিপাড়ায় জোর জল্পনা, তাঁর অভিনীত ধারাবাহিক ‘সর্বজয়া’ নাকি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শেষ সম্প্রচারণ সম্ভবত ১৪ মে।
১০ বছর পরে এই ধারাবাহিক দিয়েই অভিনয়ে ফিরেছিলেন দেবশ্রী। সম্প্রচারণের আগে থেকেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রীকে। কখনও তাঁর অভিনীত ছবির জনপ্রিয় গান ‘কলকাতার রসগোল্লা’-র তুলনা টেনে বলা হয়েছে দেবশ্রী নাকি ‘বাসি রসগোল্লা’! ধারাবাহিকের প্রচার ঝলক সামনে আসার পরে নেটাগরিকদের তরফে কটাক্ষ আরও বেড়েছে। কখনও তাঁদের দাবি, দেবশ্রীকে ভীষণ বয়স্ক দেখতে লাগছে। তাঁকে তাই ‘মাসি’ বলেও ডেকেছেন তাঁরা। এ-ও বলা হয়েছিল, ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’কে অনুসরণ করেই নাকি তৈরি হয়েছে দেবশ্রীর চরিত্র। সেই সময় আনন্দবাজার অনলাইনকে দেবশ্রী বলেছিলেন, তাঁর কাজ সব কথার জবাব দেবে। তিনি আসছেন, তাই ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। সে কারণেই এই অপপ্রচার। প্রযোজক, পরিচালক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর দাবি ছিল, বহু বছর ধরে ছোট পর্দার দুনিয়ায় থাকার পরে কারওকে নকল করার প্রয়োজন তাঁর নেই। তিনি দর্শকের চাহিদা ভালই বোঝেন।
সম্প্রচারণের শুরু থেকে ধারাবাহিক ম্যাজিক দেখিয়েছিল রেটিং চার্টে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ভাল নম্বর পেয়ে প্রথম পাঁচের মধ্যে থাকতে দেখা গিয়েছিল ‘সর্বজয়া’কে। শত্রুদের কটাক্ষ সাময়িক স্তব্ধ হয়েছিল তাতে। জয়ের হাসি হেসেছিলেন দেবশ্রী-স্নেহাশিস। কিন্তু আচমকাই রেটিং চার্টে পড়তে থাকে ধারাবাহিকের নম্বর। কখনও চিত্রনাট্য, কাহিনি নিয়ে আপত্তি দর্শকদের। কখনও কুশীলবদের অভিনয় নিয়ে। এ দিকে জি বাংলায় নতুন ধারাবাহিকের লম্বা লাইন।
সব মিলিয়েই কি মাত্র ৯ মাসেই শেষ ‘সর্বজয়া’? ফোনে অধরা দেবশ্রী। ফোন বন্ধ ব্লুজ প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধারেরও। ‘মৌনম সম্মতি লক্ষ্মণম’— এই সংস্কৃত শ্লোকের অর্থ সবার জানা। দেবশ্রী-স্নেহাশিসের মৌনতাও কি সে দিকেই ইঙ্গিত করছে?