Jeet Gannguli

‘এই দিনেই কত জনের প্রেমের অনুঘটক আমি’, সরস্বতী পুজোয় অকপট জিৎ

সরস্বতী পুজোয় জিৎ কোনও দিন গেয়েছেন, ‘কী করে তোকে বলব...তুই যে আমার’? আনন্দবাজার ডিজিটালকে কী বললেন শিল্পী?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৪৯
জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়—ফাইল চিত্র

জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়—ফাইল চিত্র

ইনস্টাগ্রামে একটি ছোট্ট চিরকুট। ‘অঞ্জলির পরে কলেজের পেছনের গেটে আমি দাঁড়িয়ে থাকব'। সৌজন্যে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আধ ঘণ্টা আগে শেয়ার করা এই মেসেজ বসন্তের দমকা হাওয়ার মতোই ফেলে আসা দিনে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে তাঁর অনুরাগীদের।
সঙ্গে প্রশ্নও, সরস্বতী পুজোয় জিৎ কোনও দিন গেয়েছেন, ‘কী করে তোকে বলব...তুই যে আমার’?
কৌতূহলের টানেই কলকাতা-মুম্বই সংযোগ। ফোনের ওপারে প্রশ্ন শুনেই হাসি, ‘‘স্কুল থেকে কলেজ জীবন পর্যন্ত প্রত্যেকটা ছেলে-মেয়ে অপেক্ষা করে থাকে এই দিনটির জন্য। করোনার ভয়ে যতই ডিজিটাল হোক প্রেম, বসন্ত পঞ্চমীকে এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্য কারওর নেই।’’
বলতে বলতে খোদ সুরকারই নস্টালজিক। উত্তর কলকাতার ছেলে। প্রায় প্রতি পাড়ায়, প্রতি গলিতে, প্রতি স্কুলে পুজো। সরস্বতী পুজোর আগের দিন থেকে ব্যস্ততা শুরু। কার্ড বানিয়ে বয়েজ স্কুলের ছেলেরা যাবে গার্লস স্কুলে। সে কী শিহরণ! কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ করা মানেই আর একটি দিন মেয়েদের স্কুলে ঢোকার ছাড়পত্র পাওয়া। তার জন্যও কি কম কাঠখড় পোড়াতে হত? দারোয়ানকে লজেন্স, হজমি গুলি ঘুষ। অনেক সাধ্য-সাধনার পর অনুমতি।
রাত পেরোলেই আকাঙ্ক্ষিত দিন। সবার একটাই চিন্তা, কত সকাল সকাল পুজো মিটবে। যেতে হবে যে মেয়েদের স্কুলে!
সেই আকাঙ্ক্ষারই চিরকুট-রূপ কলেজ বেলায়, অকপট জিৎ।

Advertisement
আরও পড়ুন:


শিল্পী মানুষ। বহু রোম্যান্টিক গানের সুরকার। তিনিও কি এ ভাবেই... একাধিক বার সরস্বতী পুজো এলে কলেজের পিছনের গেটে অপেক্ষা করেছেন? জিৎ খোলামেলা, ‘‘যৌবনে আমি সাক্ষাৎ মদন দেব। কত জনের প্রেমের সাক্ষী! কত বন্ধুর জীবনে প্রেম এসেছে আমার হাত ধরে। তার জন্য গাইতে হয়েছে। গিটারের ক্লাস নিতে হয়েছে। অনেক বড় বয়স পর্যন্ত। স্যারেরা কপট শাসন করে বলতেন, "আর কত দিন এ সব দুষ্টুমি করবি?’’
এমন রোম্যান্টিক মানুষ নিজের স্ত্রী চন্দ্রাণী ছাড়া আর কাউকে চিনলেন না! আড় চোখে দেখলেনও না কাউকে... অন্তত এই একটি দিনে?
বলতেই ফের হালছাড়া হাসি। জানালেন, ‘‘কলকাতার সরস্বতী পুজো অন্য মাত্রার। মুম্বইয়ে আলাদা। এখানে থিতু হওয়ার পর প্রতি পুজোয় চন্দ্রাণী সঙ্গে থাকত। এখনও আমরা দু’জনে পুজো করি বাড়িতে। ঠাকুরমশাই ছাড়াই। স্টুডিয়োয় যাই না। কোনও অনুষ্ঠানও করি না। ভাল-মন্দ খাওয়া-দাওয়া থাকেই। থাকে মায়ের হাতের গোটাসেদ্ধ। এ বছরেও পুজোয় মা আমার কাছে। ফলে, খিচুড়ি, আলু ভাজা, পাঁপড়, বাঁধাকপির তরকারি, চাটনির সঙ্গে থাকবে গোটাসেদ্ধ রান্না।’’

আরও পড়ুন
Advertisement