(বাঁ দিক থেকে) মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, গৌতম ঘোষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব অধিকারী। অলঙ্করণ: সনৎ সিংহ।
স্বস্তি ফিরল টলিপাড়ায়। বুধবার থেকে শুটিং শুরু। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়-টেকনিশিয়ান সমস্যা মেটাতে নবান্নে পৌঁছেছিলেন প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, প্রযোজক-অভিনেতা দেব অধিকারী, পরিচালক গৌতম ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমাধানের ইঙ্গিত মিলল অবশেষে। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী সমাজমাধ্যমে লেখেন, “দেখা হল, কথা হল, ভাল লাগল।” এর পরেই সমাজমাধ্যমে প্রসেনজিৎ লেখেন, “দিদি অনেক ধন্যবাদ। আপনার সহযোগিতাতেই আমরা আগামিকাল আবার শুটিংয়ে ফিরব।” পাশাপাশি, সমস্ত প্রযোজক, পরিচালক, টেকনিশিয়ান, অংশীদারদেরও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
ইতিমধ্যে দেবও এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘খুব শীঘ্রই সব কিছু মিটে যাবে। সন্ধ্যার মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। আশা করছি, বুধবার থেকেই শুরু হবে শুটিং। টেকনিশিয়ান, প্রযোজক থেকে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ।’’ খবর, সমাজমাধ্যমে দেবের এই ইতিবাচক বার্তা অনুযায়ীই সমাধানসূত্র মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক অনুযায়ী, বুধবার থেকে টলিউড ফের কাজের মেজাজে। বড় পর্দা, ছোট পর্দা, সিরিজ়— সব মাধ্যমের শুটিং শুরু হবে। রাহুল মুখোপাধ্যায় বসবেন পরিচালকের আসনেই। তবে তিনি শুটিং শুরু করবেন আরও সাত দিন পর। পাশাপাশি, ফেডারেশনের নিয়মকানুন নতুন করে খতিয়ে দেখতে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে গঠিত রিভিউ কমিটির কাছে নতুন নিয়মকানুন জমা দিতে হবে।
সোমবার দুপুরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেন পরিচালকেরা। তার পর বিকেলে টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ানস স্টুডিয়োয় সাংবাদিক বৈঠক করে ফেডারেশন। সন্ধ্যায় সেখানেই পাল্টা বৈঠকে বসে ডিরেক্টর্স গিল্ড। পরিচালকদের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, রাজ চক্রবর্তী-সহ অনেকেই।