Puja Release 2024

‘টেক্কা’য় অভিনয় করে দেবের প্রেমে হাবুডুবু! ‘অপহরণকারী’কেই নাকি বিয়ে করতে চায় আমেয়া?

আগে থেকেই দেবের প্রতি ভাল লাগা ছিল। ছবিতে একসঙ্গে কাজের পর সারা ক্ষণ নাকি চোখে হারাচ্ছে ছ’বছরের আমেয়া! দাবি, অভিনেতা তার চোখে সেরা পুরুষ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬
(বাঁ দিকে) আমেয়া বসু, দেব (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আমেয়া বসু, দেব (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।

তার চোখে ‘সেরা পুরুষ’ কে? বছরের শুরুতেও ছিলেন তার বাবা, প্রাক্তন ক্রিকেটার রণদেব বসু। এখন কে? সাংসদ-অভিনেতা দেব! মাত্র একটি ছবিতে কাজ। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘টেক্কা’ ছবির ট্রেলারে ‘অপহরণকারী’ দেবের কোলে যে একরত্তি মেয়েটিকে সকলকে দেখছেন, সে-ই প্রাক্তন ক্রিকেটারের মেয়ে আমেয়া বসু। খবর, আগে থেকেই নাকি প্রযোজক-অভিনেতার প্রতি ভাল লাগা ছিল তার। ছবিতে অভিনয়ের পর বালিকার মন জুড়ে শুধুই দেব! অভিনেতার আকর্ষণে এতটাই আচ্ছন্ন যে, আমেয়া নাকি ঠারেঠোরে বুঝিয়েও দিয়েছে, বিয়ে করলে কেবল প্রিয় অভিনেতাকেই করবে সে। তাকে ঘিরে দেবেরও কি একই অনুভূতি? শোনা যাচ্ছে, শুটিংয়ের বাইরেও আমেয়াকে নাকি সারা ক্ষণ কোলে করে ঘুরতেন তিনি। শুধু তার জন্য প্রতি দিন আনাতেন নানা স্বাদের চকোলেট।

Advertisement

ক্রিকেটারের মেয়ে তা হলে অভিনেত্রী? বিষয়টি জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ছবির কার্যনির্বাহী প্রযোজক রম্যাণি ঘোষের সঙ্গে। তিনিই আমেয়ার মা। বিষয়টি নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ তিনি। গুঞ্জন, বিষয়টি নাকি আচমকাই ঘটে গিয়েছে। শিশু অভিনেত্রী চেয়ে দেব-সৃজিত এবং প্রযোজনা সংস্থা একের পর এক বালিকার লুক টেস্ট নিচ্ছেন। তখনই রণদেব-রম্যাণির মেয়ে আছে, জানতে পারেন তাঁরা। আমেয়া তখন থেকেই দেবের ভক্ত, এ কথা জানার পর তার মায়ের কাছে মেয়েকে চান অভিনেতা। শুরুতে নাকি আমেয়ার মা-বাবা রাজি ছিলেন না। দেব-সৃজিতের পীড়াপীড়িতে মেয়ের লুক টেস্ট হয়। শোনা যাচ্ছে, সেই ছবি দেখার পর আর ‘না’ বলতে পারেননি তাঁরা। চূড়ান্ত হওয়ার পর আমেয়া দিন দুই সুদীপ্তা চক্রবর্তীর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। বাকিটা সৃজিত-দেব সামলে নিয়েছেন।

যেমন, এক দিন প্রচণ্ড ঘুম পেয়ে যাওয়ায় খুব কান্নাকাটি করেছিল একরত্তি। তার ওই স্বাভাবিক কান্না নাকি পরিচালক ক্যামেরায় ধরে রাখেন। পরে ছবিতে জুড়ে দেন। কারণ, এমনিতে আমেয়া খুবই হাসিখুশি। মাত্র পাঁচ দিন দেবের সঙ্গে শুটিং ছিল তার। এই পাঁচটি দিন সে সারা ক্ষণ দেবের কোলে-পিঠে চড়ে ঘুরেছে। কোনও দুষ্টুমি করেনি। এক দিনের জন্যও নাকি স্কুল কামাই হয়নি তার। ফলে, তার অভিনয়ের বিষয়টি এখনও জানেন না খুদে শিল্পীর স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছবিমুক্তির আগে তাঁদের আমন্ত্রণ জানাবেন রণদেব-রম্যাণি। তবে আমেয়ার স্কুলের বন্ধুরা, তাদের মায়েরা সব জানেন। তাঁরা মুখিয়ে তাকে পর্দায় দেখার জন্য। আমেয়া কতটা উত্তেজিত? জানা গিয়েছে, শহরের রাস্তায় ছবির পোস্টার দেখে দারুণ উত্তেজিত সে।

আরও খবর, শুটিংয়ে আমেয়াকে রোজ তার দিদা নিয়ে যেতেন। মাঝে জ্বরের কারণে দিন তিনেক তিনি আসতে পারেননি। সুস্থ হয়ে সেটে আসতেই দেব নাকি তাঁর খোঁজ নিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আমেয়া আপ্লুত, “দেখেছ, দিদার প্রতি কত মনোযোগ! এই জন্যই তো দেবদাকে এত ভালবাসি।”

এই আবেগে ভেসেই আমেয়ার কাছে বাকিরা সকলে ‘আঙ্কল’। কেবল দেব‘দা’!

আরও পড়ুন
Advertisement