‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’-র বেশে ক্রিস ইভান্স। ছবি: সংগৃহীত।
হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা তিনি। দর্শক এবং অনুরাগীদের প্রিয় সুপারহিরো। তিনি পর্দায় এলেই হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা প্রেক্ষাগৃহ। পর্দার বাইরে বাস্তব জীবনেও অনুরাগীদের কাছে তাঁর আবেদন সুপারহিরোর চেয়ে কিছু কম নয়। সুঠাম চেহারা এবং হাসিখুশি স্বভাবের জন্য তাঁকে প্রায় চোখে হারান অনুরাগীরা। অনুরাগীদের চমকে দিয়ে এ বার বিয়ে করলেন হলিউডের সেই জনপ্রিয় তারকা ক্রিস ইভান্স। নিজের থেকে প্রায় ১৬ বছরের ছোট পাত্রীর সঙ্গেই সংসার পাতলেন মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ক্যাপ্টেন আমেরিকা!
মার্ভেল ব্রহ্মাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুপারহিরো ক্যাপ্টেন আমেরিকা। সেই চরিত্রে প্রথম থেকে অভিনয় করে এসেছেন ক্রিস। ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির ছবি তো বটেই, ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির একাধিক ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। পর্দায় তাঁর প্রেমিকা পেগি কার্টার, যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী হেইলি অ্যাটওয়েল। ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ ছবির শেষে গিয়ে বৃদ্ধ বয়সে পেগির সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল ক্যাপ্টেন আমেরিকা তথা স্টিভ রজার্সকে। তবে বাস্তব জীবনে নিজের মনের মানুষকে খুঁজে পেতে এতটা সময় লাগেনি ক্রিসের। বছর দুয়েক আগে পোর্তুগিজ় অভিনেত্রী আলবা ব্যাপটিস্টার প্রেমে পড়েন ক্রিস। সম্পর্কের এক বছরের মাথায় এক সাক্ষাৎকারে ক্রিস জানিয়েছিলেন, আলবার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন তিনি। যেমন বলা, তেমন কাজ। নিজের ওই মন্তব্যের এক বছরের মাথায় প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন ‘নাইভ্স আউট’ খ্যাত হলিউড তারকা।
চলতি বছরে ৪২-এ পা দিয়েছেন ক্রিস। অন্য দিকে আলবার বয়স মাত্র ২৬ বছর। যদিও বয়সের এই পার্থক্য কখনই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি তাঁদের প্রেমে। প্রেম দিবসে একে অপরকে সমাজমাধ্যমের পাতায় শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন ক্রিস এবং আলবা। দিন কয়েক আগে ক্রিসের বস্টনের বাড়িতেই একে অপরকে ‘আই ডু’ বলেন যুগল। যদিও বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে বিশেষ হুল্লোড় করতে চাননি ক্রিস এবং আলবা। নিজেদের কাছের বন্ধুদের সান্নিধ্যেই বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন আয়রন ম্যান তথা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, থর তথা ক্রিস হেমস্ওয়ার্থ, হকআই তথা জেরেমি রেনারের মতো বিখ্যাত মার্ভেল তারকারা। সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের ছবি।