প্রয়াত ব্রিটিশ-ফরাসি অভিনেত্রী-গায়িকা জেন বার্কিন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত ব্রিটিশ-ফরাসি অভিনেত্রী তথা গায়িকা জেন বার্কিন। ৭৬ বছর বয়সে প্যারিসে মৃত্যু অভিনেত্রী-গায়িকার। ১৯৪৬ সালে লন্ডনে জন্ম জেনের। জন্মসূত্রে ব্রিটিশ হলেও ফ্রান্সেই নিজের কর্মজীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন জেন। সেখানেই অভিনেত্রী হিসাবে খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। ব্রিটিশ নাগরিক হলেও শেষ জীবনে পাকাপাকি ভাবে ফ্রান্সের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ১৬ জুলাই ৭৬ বছর বয়সে প্যারিসে প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী।
ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জেনের মৃত্যু খবর। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে জেনের নিথর দেহ। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রেও তেমনটাই খবর। ২০২১ সাল নাগাদ স্ট্রোক হয় জেনের। তার পর থেকেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন অভিনেত্রী। ফরাসি অভিনেতা তথা গায়ক সার্জ গেইন্সবার্গের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। নিজেদের নামে একটি স্টুডিয়ো অ্যালবামও বানিয়েছিলেন যুগল। সেই অ্যালবামেরই জনপ্রিয় গান ‘জে তেম... মোয়া ন প্লু’। ওই গান গেয়েছিলেন জেন, সঙ্গ দেন সার্জও। ওই গানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল ইটালিতে।
অভিনয় এবং গান ছাড়াও জেনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অবদান ফ্যাশনের জগতে। বিখ্যাত ফরাসি ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘হার্মিজ়’-এর বার্কিন ব্যাগের নেপথ্যে ছিলেন তিনি। শোনা যায়, বিখ্যাত ওই ফ্যাশন সংস্থার কর্ণধারকে বার্কিন এক বার বলেছিলেন, তিনি কোথাও এমন কোনও ব্যাগ খুঁজে পান না যাতে মা হিসাবে তাঁর সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তিনি ভরে ফেলতে পারবেন। তাঁর এই অনুযোগের ভিত্তিতেই ‘হার্মিজ়’ তৈরি করেছিল একটি বিশেষ ব্যাগ। জেনকে সম্মান জানিয়ে সেই ব্যাগের নাম রাখা হয়েছিল ‘বার্কিন’। বার্কিন এখন বিশ্বের অন্যতম কেতাদুরস্ত ব্যাগ বলে পরিচিত। অভিনয়, গান, ফ্যাশনের উৎসাহ ছাড়াও রাজনৈতিক ভাবেও সজাগ ছিলেন জেন। এইডস নিয়ে সচেতনতা প্রচারে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করেছেন তিনি। আওয়াজ তুলেছিলেন এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর সম অধিকারের লড়াইয়েও।