পরিচালক সাজিদ খান। ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক বছর আগে বলিউডে তখন ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দলোনের আবহ। একের পর এক বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পরিচালক সাজিদ খান। তার পর বয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়। তবে, বলিউড চেনা ছন্দে ফিরলেও সাজিদ বলিউডের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে পারেননি।
সেই সময় ‘হাউসফুল ৪’ ছবি পরিচালনা করছিলেন সাজিদ। ‘মিটু’ অভিযোগ ওঠায় নির্মাতারা তাঁকে সরিয়ে দেন। সাজিদ জানিয়েছেন, রাতারাতি তিনি বেকার হয়ে যান। এক সময় অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। পরিচালক বলেন, ‘‘গত ছ’বছরে অনেকবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছি।’’ তবে কিছু দিন পরে সাজিদকে ফের কাজের অনুমতি দেয় আইএফটিডিএ (ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরর্স অ্যাসোসিয়েশন)।
কিন্তু পরিচালক জানিয়েছেন, তার পরেও কাজের পরিস্থিতি ঠিক হয়নি। সাজিদের কথায়, ‘‘কাজ না থাকায় আমাকে নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করে ভাড়া বাড়িতে গিয়ে উঠতে হয়।’’ সাজিদ জানান, অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তিনি বিষয়টা তাঁর মায়ের থেকে গোপন করেছিলেন। কারণ তখন তাঁর মা খুবই অসুস্থ ছিলেন। পরিচালক বলেন, ‘‘তখন যে ছবির শুটিং করছিলাম, সেটা ছাড়তে হল। মা জানতে পারলে হয়তো হৃদ্রোগে আক্রান্ত হতেন। ফারহা তখন বাড়িতে মায়ের থেকে সংবাদপত্র লুকিয়ে রাখত।’’ উল্লেখ্য, গত বছর সাজিদ-ফারহা তাঁদের মা-কে হারিয়েছেন।
সাজিদ জানিয়েছেন, কারও বিরুদ্ধে তাঁর এখন কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু গত ছ’বছরে তাঁর জীবন যে বদলে গিয়েছে, সে কথাও তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে নিজেকেও নতুন ভাবে আবিষ্কার করেছি।’’