Kalki Koechlin

‘নিজের শরীরের উপর কোনও অধিকারই যেন নেই, সবটুকু শুষে নিয়েছে!’ কেন বললেন কল্কি?

ন’মাস গর্ভধারণ থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়া এবং তার পর সন্তানের লালন— গোটা সফরে একজন নারীকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে যে মূল্য দিতে হয়, তা নিয়ে কেউই কথা বলতে নারাজ। এমনই মনে করেন কল্কি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৬
Image of Kalki Koechlin

মেয়ের জন্মের পর ছ’মাস ভাল করে ঘুমোতে পারেননি কল্কি কেকলাঁ। ছবি: সংগৃহীত।

বলিউডে অন্য ধারার অভিনেত্রী কল্কি কেকলাঁ। ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে রণবীর কপূর এবং দীপিকা পাড়ুকোনের পাশেও নিজের ঔজ্জ্বল্য ধরে রেখেছিলেন অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনের পাশাপাশি কল্কির ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম চর্চা হয় না।

Advertisement

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মুখ খুলেছেন সন্তানধারণ ও মা হওয়ার নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে। ন’মাস গর্ভধারণ থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়া এবং তার পর সন্তানের লালন— গোটা সফরে একজন নারীকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে যে মূল্য দিতে হয়, তা নিয়ে কেউই কথা বলতে নারাজ। এমনই মনে করেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “অনেক মূল্য দিতে হয়, মনে হয় যে আমার শরীরটা অন্য কারও দাস। আক্ষরিক অর্থেই যেন সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই নিবেদিত। সে সময় সন্তানই সমস্ত পুষ্টি, শক্তি নিঙড়ে নিয়ে যায়।”

মেয়ের জন্মের পর ছ’মাস ভাল করে ঘুমোতে পারেননি কল্কি। শুধুই স্তন্যদান করে যেতে হয়েছে। আর তার ফলেই শরীরের সমস্ত শক্তি যেন ফুরিয়ে গিয়েছিল তাঁর। এরই পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও তৈরি হয়েছিল। কল্কি জানান, সে সময় তাঁর নিজের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। তাঁর আক্ষেপ মায়েদের জীবনের এই সমস্যা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলেন না।

২০২০ সালে কল্কির মেয়ে সাফোর জন্ম হয়। গত পাঁচ বছরে মা-মেয়ের সম্পর্ক মন টেনেছে অনুরাগীদের। অভিনেত্রী মনে করেন, মেয়ে তাঁর নতুন বন্ধু। পাঁচ বছরের মেয়েই এখন তাঁকে সব থেকে ভাল বুঝতে পারে, সে কথাও জানিয়েছেন কল্কি।

Advertisement
আরও পড়ুন