আশিস বিদ্যার্থী। ছবি: সংগৃহীত।
৫৭ বছর বয়সে নতুন ভাবে জীবন শুরু করেছেন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। ২২ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে ফের বিয়ে! খবর প্রকাশ্যে আসতেই ধেয়ে এসেছে নানা ধরনের মন্তব্য। নেতিবাচক মন্তব্যেই ভরে উঠেছে অভিনেতার সমাজমাধ্যমের পাতা। এত ধরনের মন্তব্য পড়ে অভিনেতা অবাক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উগরে দিয়েছেন তাঁর যাবতীয় ক্ষোভ। রূপালি বড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই অভিনেতার অতীত নিয়ে হয়েছে সমালোচনাও।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, “দীর্ঘ ২২ বছরের দাম্পত্যকে কী ভাবে ছাড়তে পারলেন আশিস?” প্রাক্তন স্ত্রী রাজশীর এবং সিদ্ধার্থের একটি পুত্রসন্তান আছে। তিনি বিদেশে চাকরি করছেন এই মুহূর্তে। আশিসের বিয়ে প্রসঙ্গে তাঁর ছেলের কী মত সে কথাও জানতে চেয়েছেন অনেকে। এই প্রশ্ন এবং অনুরাগীদের ভাবনাচিন্তা দেখে অবাক আশিস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বুড়ো, খিটখিটে এমন অনেক অবমাননাকর কথা শুনেছি। আমি বুঝতে পারি না তা হলে কি বয়স হলে গেলে মানুষের বাঁচার অধিকার থাকে না? অখুশি হয়ে মরতে হবে বয়স্কদের? আমি নিজে কষ্ট করে রোজগার করি, নিজের খরচ মেটাচ্ছি। নিজের মনের মতো মানুষের সঙ্গে জীবন কাটানোর অধিকার কি অন্যদের থেকে নিতে হবে? কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমাজমাধ্যমের পাতায় হবে এমন আলোচনা! এমন সমালোচনা আমি আশা করিনি। সত্যিই বিস্মিত আমি।”
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনালাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁর প্রাক্তন শাশুড়িমা শকুন্তলা বড়ুয়াকে। তিনি অবশ্য আশিসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বলেছিলেন, “আমার মেয়ে ভাল থাকলে আমি আর কিছু চাই না। এ বিষয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে আর বাড়তি কিছু বলতে চাই না।” বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখনও লাইভে এসে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেন অভিনেতা।
আশিস বলেন, ‘‘দিনের শেষে আমরা সবাই কিন্তু খুশি থাকতে চাই। আর এই খুশির জন্য আজ থেকে ২২ বছর আগে আমি ও পিলু একে অন্যের হাত ধরেছিলাম। আমাদের জীবনে আমাদের সন্তান অর্থ আসে। তারও এখন বয়স ২২। কিন্তু এত সুন্দর একটা সময় কাটানোর পর আমরা বুঝতে পারি আমরা ভাল নেই। আমরা বুঝতে পারি, আমরা ভবিষ্যৎটা আলদা ভাবে দেখি। বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। তখনই এই সিদ্ধান্ত নিই। কারণ, ভাল থাকার অধিকার সবার আছে।” আপাতত রূপালির সঙ্গে শান্তিতে সংসার করতে চান আশিস।