বডি শেমিং নিয়ে কথা বললেন ঋত্বিক।
কোনও দিন নায়ক হতে চাননি ঋত্বিক চক্রবর্তী। তাঁর বরাবরের ঝোঁক, অভিনেতা হবেন। তাই আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় তাঁর নামের সঙ্গে ‘তারকা’ তকমা জুড়ে দিতেই যেন মৃদু আপত্তি তাঁর। কারণ, ‘তারকা’ শব্দের সঙ্গে বিনোদন দুনিয়ার 'বাণিজ্য' শব্দটি ওতপ্রোত জড়িত। তবে এ কথা অভিনেতা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন, চেহারা অভিনেতার জীবনে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি তাঁর দাবি, ‘‘আপনি ঠিক নায়কোচিত নন, এই কথাটার মধ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে চোরা ‘বডি শেমিং’ লুকিয়ে।’’
ঋত্বিক কি কখনও ‘বডি শেমিং’-এর শিকার হয়েছেন? এই কৌতূহল জন্ম নিয়েছে ঋত্বিকের কথার সূত্র ধরেই। অভিনেতার স্পষ্ট জবাব, একা তিনি নন, তাঁর মতো দেখতে অনেককেই এই বাক্যবাণের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এবং প্রশ্নকর্তা বোঝেনওনি, তিনি অজান্তেই ‘বডি শেমিং’ করছেন! ঋত্বিকের আরও দাবি, তিনি নিজের চেহারা সম্বন্ধে যথেষ্ট সজাগ। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি এসেছেন ‘অভিনেতা’ হতে। তথাকথিত ‘নায়ক’ হওয়ার ইচ্ছে তাঁর বিন্দুমাত্র নেই। নিজের কথার প্রেক্ষিতে ঋত্বিক যুক্তিও দেখিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘চেহারাই যদি সব হত, তা হলে বলিউডে দিলীপকুমার আর দেবানন্দ একসঙ্গে নায়ক হতে পারতেন না। কারণ, দিলীপ সাব তথাকথিত নায়কোচিত নন। দেবানন্দ অবশ্যই সুপুরুষ। তাই সৌন্দর্যই যে কোনও মানুষ বা চরিত্রের চূড়ান্ত মাপকাঠি এমনটা নয়। এই মত কী বাস্তবে কী পর্দায়, উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’’ অভিনেতার দাবি, তিনি জানতেন এই ধারণা আস্তে আস্তে বাতিল হয়ে যাবে।
‘শব্দ’র ‘তারক দত্ত’র মতে, তথাকথিত নায়কোচিত বলতে সবাই যা ভাবেন একজন অভিনেতার মধ্যে সেই চেহারাই তাঁরা দেখতে চান। খোঁজেনও। আর যাঁরা ঋত্বিক বা তাঁর মতো অভিনেতাদের 'নায়ক' তকমা দিতে চান, তা হলে এত দিন তাঁরা যা ভেবে এসেছেন তা সম্পূর্ণ ভুল।