‘‘কেজরীওয়ালের উচিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি নিজে দেখা ও ছবিটি অন্যদের দেখতে উদ্বুদ্ধ করা,’’ দাবি বিজেপি নেতার। ছবি: সংগৃহীত।
মুক্তির আগে থেকেই চর্চায় রয়েছে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবির ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। জোর করে ধর্মান্তরণ, লভ জিহাদ সংক্রান্ত বিষয়ের আধারে তৈরি এই ছবি। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র ট্রেলারে দাবি করা হয় যে, কেরলের ৩২ হাজার মহিলা নিখোঁজ। পরে নাকি তাঁরা জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এ যোগ দেন। ছবির ট্রেলারের ওই দাবি ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। তার পর সেই বিতর্কের জল গড়িয়েছে আদালতেও। ছবির মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মানসিকতা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, এই মর্মে শীর্ষ আদালতে আর্জিও জানানো হয়েছিল আইনজীবীদের তরফে। সব বিতর্ক পেরিয়ে গত সপ্তাহে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশে এই ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবজা সিংহ চৌহান। এ বার দিল্লিতেও ছবিকে করমুক্ত করার দাবি জানাল বিজেপি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকারের কাছে বিজেপির দাবি, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিকে করমুক্ত করে কিশোরীদের এই ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করা হোক।
দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র প্রবীণ শঙ্কর কপূর মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে একটি চিঠি লিখে এই দাবি ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মতে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি নিজে দেখা ও ছবিটি অন্যদের দেখতে উদ্বুদ্ধ করা। তাঁর দাবি, ‘‘প্রাপ্তবয়স্কদের দেখার জন্য ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটিকে সেন্সর বোর্ডের তরফে ‘এ’ শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। এ দিকে আজকাল ‘লভ জিহাদ’-এর বিপদ ১৫-১৬ বছরের কিশোরীদের উপর সব থেকে বেশি পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছবিকে ‘ইউ/এ’ শংসাপত্রের ব্যবস্থা করে দেওয়া, যাতে আরও বেশি সংখ্যায় মেয়েরা এই ছবি দেখে পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক হতে পারে।’’ তাঁর মতে, ‘‘একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কিশোরীরাই সব থেকে বেশি ‘লভ জিহাদ’-এর শিকার। তাদের আরও বেশি করে এই ছবি দেখানো উচিত।’’
গত ৫ মে মুক্তি পাওয়া এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি কর্নাটকের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই মধ্যপ্রদেশে এই ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করা হয় মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে।