অনামিকা চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
সুখের সংসারে তৃতীয় মানুষের প্রবেশ। সঙ্গে সঙ্গেই সম্পর্কে আবদ্ধ যে কোনও এক জনের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায় মুহূর্তে। গ্রাস করে নিরাপত্তাহীনতা। ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকের অনির্বাণ ও রাই-এর সুখের দাম্পত্যেও হাজির এমনই এক অশনি সঙ্কেত। হঠাৎই তাদের জীবনে এসে উপস্থিত কোয়েল। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই এপিসোডের ঝলক। প্রায় সাত মাস পরে ছোট পর্দায় ফিরছেন অনামিকা চক্রবর্তী।
অনির্বাণের প্রথম স্ত্রী কোয়েলের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাঁকে। যদিও ধারাবাহিকের শুধু ঝলকেরই শুটিং হয়েছে এখনও পর্যন্ত। পুজোর পরে তাঁর অংশের শুটিং শুরু হবে বলে জানান অনামিকা। চরিত্রটি সম্পর্কে অভিনেত্রী বলেন, “অনির্বাণের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। অবশেষে কোয়েল ছেড়ে চলে যায়। এ বার সে ফিরে এসেছে অনির্বাণের জীবনে।”
ধারাবাহিকের প্রসঙ্গ টেনেই বাস্তবে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কথা বলেন অনামিকা। ২০২৩-এ দীর্ঘ দিনের প্রেমিক উদয় প্রতাপ সিংহকে বিয়ে করেছেন অনামিকা। বিনোদন জগতে তাঁদের জুটির অনুরাগীও অসংখ্য। অনামিকা জানান, বাস্তবেও তাঁদের দু’জনের বোঝাপড়া এমনই যে, কখনও তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশের পরিসরই তৈরি হয়নি। অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের সম্পর্কটা এতটাই শক্তিশালী যে আমরা জানি, তৃতীয় কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সাধারণত কোনও সম্পর্কের সমস্যা তৈরি হয় তৃতীয় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করেই। তাই আমি আর আমার সঙ্গী কখনই এটা হতে দেব না।”
সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হওয়া দরকার। সম্পর্কে প্রতিটি দিন পেলব থাকবে, এমন প্রত্যাশা রাখাও উচিত নয় বলেও মনে করেন অনামিকা। অভিনেত্রীর কথায়, “সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। যদি মনে হয়, আপনার জীবনে তৃতীয় কেউ আসতে পারে, তা হলে প্রথম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে পরস্পরের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায়। সম্পর্কটা তো একটা সময় নিশ্চয়ই ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই তৈরি হয়েছিল। সেই আবেগটাকে সম্মান করে বেরিয়ে আসা উচিত। অথবা, দু’জনে আলোচনা করে সমস্যাটা সমাধান করে ফেলা উচিত।”
নিজের সম্পর্কের বিষয়ে অনামিকা বলেন, “আমাদের তো বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আমরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। আমরা জানি, প্রতিটি দিন ভালবাসায় মাখা থাকে না। ভালবাসায় দুঃখ, কষ্ট, একঘেয়েমিও রয়েছে। রোজ উত্তেজনা থাকে না। কিন্তু পরস্পরের সঙ্গে একঘেয়ে দিন কাটানোটাও সম্পর্কের মধ্যে পড়েই। সম্পর্কের প্রথম দিন উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল। সেটা তো রোজ থাকবে না। কিন্তু নিজেদের মধ্যে সেই বোঝাপড়া থাকতে হবে। ভালবাসা একটা বড় দায়িত্বও। তাই তৃতীয় কেউ আসতে পারে, এমন সম্ভাবনাই তৈরি করা উচিত নয়। ক্রমশ এই বোঝাপড়া গ়ড়ে তুলতে হয়।”