পৃথা চক্রবর্তী-সুদীপ মুখোপাধ্যায় বিচ্ছিন্ন। ফাইল চিত্র।
আরও একবার প্রমাণিত, যা রটে তা কিছুটা হলেও বটে! সোমবার বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর দিলেন অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়। আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে অভিনেতা নিজে যোগাযোগ করে জানান, দিন কয়েক আগে তিনি এবং পৃথা চক্রবর্তী বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। যদিও দুই সন্তানের মুখ চেয়ে আগামীতে এক ছাদের নীচেই বসবাস করবেন তাঁরা। অভিনেতা এই মুহূর্তে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’তে অভিনয় করছেন। তাঁর অভিনীত ‘স্বতন্ত্র’ চরিত্রটি ইতিমধ্যেই দর্শকদের ভীষণ প্রিয়। শটের ফাঁকে কথা বলতে বলতে সুদীপের হতাশা স্পষ্ট, “অনেক চেষ্টা করেছিলাম, বিষয়টি এখনই যাতে প্রকাশ না হয়। পৃথা জানিয়ে দিল। ও যে আমাকে না জানিয়ে বিচ্ছেদের খবর এ ভাবে প্রকাশ্যে আনবে, এটা ভাবিনি।”
পৃথার এটি প্রথম বিয়ে। সুদীপ আরও এক বার বিবাহবিচ্ছিন্ন। তাঁর প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী দামিণী বেণী বসু। উভয়ের বিয়ের বয়স ১০ বছর। সুদীপ-পৃথার বয়সের ফারাক ২৫ বছর! যদিও এই ব্যবধান ভালবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি, বিয়েতেও নয়। এই সমাজমাধ্যমই তাঁদের এক সুতোয় গেঁথেছিল বলে খবর।
গাঢ় ভালবাসার কেন এই করুণ পরিণতি? প্রশ্ন শুনে দীর্ঘশ্বাস লুকিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “পৃথা আমার দুই সন্তানের মা। ওর বিরুদ্ধে কোনও কটূক্তি করব না। এমনিতেই সমাজমাধ্যমে ওকে খারাপ মন্তব্য করা হচ্ছে।” জানিয়েছেন, এই বিচ্ছেদ ওঁদেরও যন্ত্রণা দিচ্ছে। নিজেকে সামলাতে তাই মা-বাবার কাছে গিয়েছেন পৃথা। দুই ছেলেকে নিয়ে আপাতত কয়েক দিন সেখানেই থাকবেন।
আগামীতে একত্রবাসের সিদ্ধান্ত সুদীপ-পৃথার। পেশায় ওড়িশি নৃত্যশিল্পী পৃথা বিচ্ছেদের খবর জানানোর পর থেকেই সমাজমাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট লিখছেন। প্রশ্ন ছিল, এটা কি বাগ্যুদ্ধ চলছে?এ ভাবে এক ছাদের নীচে কাটানো যায়? জানেন না পর্দার ‘চিরসখা’। বলেছেন, “আগামীর কথা এখনই কে বলতে পারে?” একটু থেমে সুদীপ যোগ করেছেন, “এর আগে তির্যক মন্তব্য পোস্ট করেছি। যা দেখে সকলে ধরতে পেরে গিয়েছিলেন। এ বার পৃথার পালা।”