Oscar 2023

অস্কার হাতছাড়া শৌনক সেনের, তবে বাঙালির গর্ব বাড়ালেন অন্য এক কন্যে! কী ভাবে

স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের বিভাগে অস্কার জয় ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ এর। মঞ্চে সবার নজর কার্তিকি গনসালভেসের দিকে থাকলেও কিছুটা আড়ালে থেকেই বাঙালির গর্ব বাড়ালেন আরও এক কন্যা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
লস অ্যাঞ্জেলেস শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩৪
Bengali editor’s parents are overwhelmed as The Elephant Whisperers wins Oscar for best documentary short film

সিনেমার সঙ্গে আত্মিক যোগ, অস্কারের মঞ্চে বাঙালির গর্ব বাড়ালেন সঞ্চারী। ছবি: সংগৃহীত।

৯৫তম অস্কারের মঞ্চে ভারতীয় ছবির জয়জয়কার। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের বিভাগে সেরার স্বীকৃতি অর্জন করেছে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। সেরার শিরোপা নিতে মঞ্চে ছিলেন তথ্যচিত্রের পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস, ও প্রযোজক গুনীত মোঙ্গা। সবার নজর তাঁদের দিকে থাকলেও কিছুটা আড়ালে থেকেও বাঙালির গর্ব বাড়ালেন আরও এক কন্যা। তিনি সঞ্চারী দাস মল্লিক। ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ এর সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন যিনি। মেয়ের অস্কারজয়ে উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত সঞ্চারীর মা-বাবা।

মহানগরেরই মেয়ে তিনি। দক্ষিণ কলকাতায় গল্ফ গ্রিন এলাকায় মা শুভা দাস মল্লিক ও সদন দাস মল্লিকের সঙ্গে বাস সঞ্চারীর। মেয়ের এত বড় কৃতিত্বে চোখে জল মা-বাবার। সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মাস কমিউনিকেশন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন শুভা দাস মল্লিক। সঞ্চারীর দাদু মনজেন্দু মজুমদার ছিলেন সত্যজিৎ রায়ের সমসাময়িক। ওঁর সঙ্গেই ‘ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি প্রতিষ্ঠা’ করেন তিনি। সিনেমা সঞ্চারীর রক্তে। তাই মেয়ের দক্ষতার উপর ভরসা ছিল চিরকালই। তবে মেয়ে অস্কারের মতো বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি পাবে, এ কথা স্বপ্নেও ভাবেননি শুভা।

Advertisement

শুভা বলেন, ‘‘মনোনয়ন যখন এসেছিল, খুশি হয়েছিলাম। অস্কার জয়ের পরে ওকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টেক্সট করি।’’ সকাল ৭টা নাগাদ শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর পরে, দুপুরে মেয়ের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। মেয়েকে নিয়ে গর্বিত তিনি, কথার ছত্রে ছত্রে তারই প্রমাণ। মায়ের কাছ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে খুশি সঞ্চারী। তবে শুভা বলেন, “মেয়ে খুশি হয়েছে। তবে ওর অভিযোগ, আমি আগে কেন ওকে শুভেচ্ছা জানাইনি। ওর কাছে প্রচুর মেসেজ এসেছে।এই অভিজ্ঞতা যে কতটা আলাদা, সেটাও বলেছে আমাদের।’’

ভিন্ন দেশে থাকা সত্ত্বেও মেয়ের গলায় উচ্ছ্বাসের আমেজ শুনতে পেয়েছেন মা। আপাতত তাতেই সন্তুষ্ট তিনি। শুভা বললেন,”সঞ্চারী যখন গোয়াতে ছিল, তখন ওর কাছে এই ছবির প্রস্তাব আসে। এটাই ওর প্রথম তথ্যচিত্র। এর আগে বিজ্ঞাপন আর ফিচার ফিল্মে কাজ করেছে ও।”

সত্যজিৎ রায়ের পর ফের অস্কার ছুঁলেন আরও এক বাঙালি। দেশের জন্য তো বটেই, বাঙালি হিসাবেও এ এক অনন্য গর্বের জায়গা। মেয়ের কৃতিত্বের আনন্দ তো রয়েছেই, পাশাপাশি বাঙালি হিসাবেও আরও গর্বিত শুভা দাস মল্লিক।

আরও পড়ুন
Advertisement