এ আর রহমান বেসিস্ট মোহিনী দে-র পিতৃপ্রতীম! ছবি: সংগৃহীত।
এআর রহমান প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন মোহিনী দে। সাড়ে আট বছর তিনি এ আর রহমানের দলে বেসিস্ট হিসাবে কাজ করেছেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সঙ্গীদের সঙ্গে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসে। এর ফলে গুঞ্জন শুরু হয়, মোহিনী আর রহমান নাকি প্রেমে। তাই তাঁরা পুরনো বিয়ে ভেঙে নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চলেছেন!
বিষয়টি নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হতেই একে একে মুখ খুলেছেন প্রত্যেকে। মা-বাবার ২৯ বছরের দাম্পত্যে দাঁড়ি মেনে নিতে পারেননি রহমানের তিন সন্তান। তাঁরা প্রত্যেকে বিষয়টি নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাবার নামে এই অপবাদ তাঁরা মেনে নেবেন কী করে? প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। মুখ খুলেছেন রহমানের স্ত্রী সায়রা বানুও। তিনিও তাঁর প্রাক্তনকে এ ভাবে অকারণ হেনস্থা হতে দেখে বিব্রত। জানিয়েছেন, রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে ঠিকই, তা বলে এতটাও খারাপ মানুষ নন তিনি। বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রহমান নিজেও। সংবাদমাধ্যমকে সাফ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বেশি জলঘোলা হলে আইনি পদক্ষেপ করবেন তিনি।
বাকি ছিলেন যাঁকে নিয়ে এত গুঞ্জন, সেই মোহিনী। সোমবার সন্ধ্যায় তিনিও মুখর। এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, “আমার জীবনে পিতৃপ্রতিম অনেকেই রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম রহমান। আট বছরেরও বেশি সময় তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। ওঁকে অকারণ কলঙ্কিত করছেন। রহমান আমার বাবার থেকেও বড়!” আপাতত বিদেশে রয়েছেন মোহিনী। সেখানে তাঁর একের পর এক অনুষ্ঠান চলছে। রহমানের দল ত্যাগ করার পর এখন তাঁর নিজের দল হয়েছে। তাই নিয়ে তিনি দারুণ খুশি। যদিও নিন্দকেরা ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়। তাদের কৌতূহল, “তা হলে কি বাবার পরামর্শ নিয়েই মেয়ে আর বাবা এক দিন আগে পরে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলেন?”