দুই বান্ধবী সায়ন্তনী এবং বরখা
৫ ডিসেম্বর ছাদনাতলায় যাচ্ছে প্রিয় বান্ধবী। যখন তখন সাক্ষাৎ, আড্ডার দিন শেষ। সায়ন্তনী ঘোষের সঙ্গে তাই মঙ্গলবার সন্ধেয় কফি কাপেই শেষ আড্ডার তুফান তুললেন বরখা সেনগুপ্ত। পোশাকেও এ দিন তাঁরা রং মেলালেন। হালকা নীলচে ডেনিম শার্ট তাঁদের পরনে। টেবিলে মুখোমুখি বসা দুই বান্ধবীর সামনে দু’টি কাপ। একটিতে কালো কফি। অন্য জন আয়েশ করে চুমুক দিচ্ছেন দুধ-কফিতে। এমন আড্ডায় সেলফি হবে না, হয়? বরখা যত্ন করে ধরে রেখেছেন তাঁদের কুমারী আড্ডার কিছু মুহূর্ত।
তার পরেই যেন একটু মনখারাপ তাঁর। ইনস্টাগ্রামে ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘ক’দিন পরেই তুই অনুরাগ তিওয়ারির ঘরনি হবি। আর কি তোকে আগের মতো করে যখন তখন পাব?’ বন্ধুর সঙ্গে নিজের মতো করে সময় কাটানো যে কোনও মানুষের কাছেই পরম কাঙ্খিত। একই সঙ্গে সেই প্রাণের দোসরকে নতুন জীবনে রওনা করে দেওয়াও যথেষ্ট দায়িত্বের। শুধুই হুল্লোড়, নাচ, গান, উদযাপন, সাজগোজে সব ফুরিয়ে যায় না। আগামী দিনগুলোয় বন্ধুর জীবন যাতে সুখে ঝলমলে হয়ে ওঠে সেই কামনাও করে তার প্রিয় বান্ধবীই। সেই কাজটিও ভাল বন্ধুর মতোই সেরেছেন বরখা।
পুরনো দিনের কথা মনে করে চোখ ভিজেছে তাঁর। সায়ন্তনীর বিয়ের অনুষ্ঠান, তাঁর আগামী জীবনের কথা ভেবে একই সঙ্গে ঠোঁটে হাসিও। মন থেকে গ্রহণ করেছেন সায়ন্তনীর অন্য ঘরে যাওয়ার পালা। তাঁর ভাল-মন্দ সব কিছুর দায়িত্বে অনুরাগ। সারা জীবন এক সঙ্গে কাটানোর শপথ নিয়ে। কিন্তু ভাল বন্ধুর প্রয়োজন তো কখনওই ফুরোয় না! তাই তিনি সব সময়েই সায়ন্তনীর পাশে থাকবেন, ঠিক আগের মতো, সঙ্গে কাটানো অনেক মূল্যবান স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে।