আইনি বিচ্ছেদ হল নোবেলের। — ফাইল চিত্র।
“আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে নোবেলের সঙ্গে ডিভোর্সের কাজ সম্পন্ন করলাম, ধন্যবাদ।” আইনি বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন মইনুল আহসান নোবেলের স্ত্রী সালসাবেল মাহমুদ। বেশ কিছু দিন ধরেই চর্চায় গায়ক নোবেল। কুড়িগ্রামের কলেজে ‘মত্ত’ অবস্থায় স্টেজে তাঁর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে চারিদিকে নানা ধরনের মন্তব্য উড়ে আসছে। এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন তাঁর স্ত্রী সালসাবেল। তাঁর দাবি ছিল, নোবেল এমন ভাবে অচেনা হয়ে উঠবেন তিনি ভাবতেই পারেননি।
তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে, এমনটা বার বার জানিয়ে এসেছেন নোবেল। শুধু তা-ই নয়, বিচ্ছেদের কারণে তিনি কতটা অবসাদে রয়েছেন সে কথাও জানিয়েছিলেন গায়ক। যদিও পরে তাঁর স্ত্রী দাবি করেন এখনও তাঁদের চূড়ান্ত কিছু হয়নি। অবশেষে কুড়িগ্রামের ঘটনার পর আইনি বিচ্ছেদ করলেন সালসাবেল এবং নোবেল। সে কথা গায়কের স্ত্রীই ফেসবুকে পোস্ট করলেন।
তিনি লেখেন, “আমি হয়তো আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা। যে হেতু আমরা দু’জনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পর যখন আমার এবং নোবেলের কথা হয়, আমি তাঁকে শেষ বারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা করানোর জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয়, সে কখনও মাদক ছাড়বে না।” তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন সালসাবেল। শুধু তাই নয় যাঁরা নোবলকে প্ররোচনা দিয়েছেন নেশা করার, তাঁদের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। কুড়িগ্রামের ঘটনার পর নোবেল জানিয়েছিলেন, তিনি ‘রিল্যাক্স’ করার জন্য সামান্য মদ্যপান করেছিলেন। তাঁর এই কথায় ক্ষুব্ধ অনুরাগীরাও।