তসলিমা নাসরিন
ভিন্ন রূপে তসলিমা নাসরিন। কোনও প্রতিবাদ বা সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন নয়। ফ্যাশনের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করলেন লেখিকা।
শনিবার তাঁর এই নতুন রূপ সামনে এল। নিজের সামাজিক পাতায় পাঁচ বছর আগের কয়েকটি ছবি ভাগ করে নিয়েছেন লেখিকা। ছবি বলছে, ফ্যাশন নিয়ে রীতিমতো সজাগ তিনি। চুল কেটে, মানানসই পোশাক পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অনায়াসে পাল্লা দিতে পারেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, মডেলদের সঙ্গে।
তসলিমা তখন আরও ছিপছিপে। এক গরমের বিকেলে চুল কেটেছেন। বেছে নিয়েছেন মানানসই ঢিলেঢালা সাদা টপ, নীল প্রিন্টেড প্যারালাল। চোখে বড় মাপের রোদচশমা। তাতেই তিনি ঝকঝকে। ছবি ভাগ করে নিজের সম্বন্ধে নিজেই কলম ধরেছেন লেখিকা। জানিয়েছেন, ‘চুল কাটলাম কাল বিকেলে। কাল রাতে ঘরে, আর আজ দুপুরে বাইরে কিছু ফটো তোলা হল মোবাইলে। গরমে চুল ছোট করতেই হয়। না হলে বাঁচা যায় না’। তার পরেই তাঁর বিস্ময়, ‘জানি না, লম্বা চুল গরমকালে কী করে সামলায় মেয়েরা’। এই প্রসঙ্গে তসলিমার মনে পড়েছে তাঁর ফেলে আসা দিনের কথাও। তাঁরও তো এককালে লম্বা চুল ছিল! তখন ঘর ঠাণ্ডা করার যন্ত্র ছিল না তাঁর বাড়িতে। এর পরেই লেখিকার রসিকতা, ময়মনসিংহ শহরটা হয়তো একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডাই ছিল!
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেত্রী পরীমণির গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সামাজিক পাতায় নিজের বক্তব্য জানিয়েছিলেন তসলিমা। নিজের মতামত প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছিলেন, একজন মহিলা বলেই কি বাড়িতে মদ রাখার দায়ে আচমকা গ্রেফতার পরীমণি? লেখিকার বক্তব্য প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইনে। সেই প্রতিবেদনে ব্যবহার করা ছবি নিয়ে এর পরেই ক্ষোভ জানান লেখিকা। তাঁর দাবি, আনন্দবাজার অনলাইনে তসলিমার ‘খারাপ’ এবং ‘ভূতুড়ে’ ছবি ছাপা হয়। সেই অনুযোগও তিনি ভাগ করে নিয়েছেন সামাজিক পাতায়। লিখেছেন, ‘‘আমার ভূতুড়ে ছবিটা ছাড়া বাকি সব ঠিক আছে।’’
পরে আনন্দবাজার অনলাইন ছবি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে তিনি তাঁর সামাজিক পাতায় তা ভাগ করে নেন।