(বাঁ দিকে) অভিনেতা শরিফুল রাজ (ডান দিকে) অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল ছবি : সংগৃহীত।
মাত্র ১৮ মিনিটের মধ্যেই তোলপাড় ও পার বাংলা। প্রায় দিন দশেক আগের কথা। বাংলাদেশের অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া তাঁর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো ফাঁস হয়ে যায় সমাজমাধ্যমে। শুধু একা সুনেরাহ নন, গোপন ভিডিয়োতে মত্ত অবস্থায় দেখা যায় তানজিন তিশাকেও।যদিও ১৮ মিনিটের মাথায় তুলে নেওয়া হয় সেই ভিডিয়ো। তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
ভিডিয়ো বিতর্কের জল বহু দূর গড়িয়েছে। পরীমণির স্বামী শরিফুল প্রকাশ্যে সকলের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। এই ঝামেলার পরে শরিফুলের কাছে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছেন পরীমণি। ভিডিয়ো ফাঁসের নেপথ্যে রয়েছেন পরী, এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন ভুক্তভোগী সুনেরাহ বিনতে কামাল। যদিও তাঁর সংসার ভাঙার জন্য সুনেরাহকে দায়ী করেছেন পরীমণি। এক কথায় অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। এর মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন সুনেরাহ। আপাতত সমাজমাধ্যম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেত্রী।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানেই জানান, সমাজমাধ্যম থেকে বিদায় নিচ্ছেন তিনি। পাশপাশি, যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে বেশ কয়েক বার গালিগালাজ করতে শোনা যায় অভিনেত্রীকে। সেই কারণে দুঃখপ্রকাশ করে সুনেরাহ লেখেন, ‘‘আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। ওই ভিডিয়োতে যে ধরণের ভাষা ব্যবহার করেছি সেই কারণে ক্ষমা চাইছি। তবে সেই সময় বয়স কম ছিল, পরিণত ছিলাম না। আমার বন্ধুরা জানে আমি তাদের সঙ্গে কেমন ভাবে হাসিঠাট্টা করে থাকি। যাই হোক ভিডিয়োটা আমার করা নয়। শুধু তাই নয়, ভিডিয়োটার পিছনে কোনও খারাপ উদ্দেশ্যও ছিল না।’’
এর পরই ফেসবুক থেকে বিদায় নেন তিনি। তবে অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল এখনও রয়েছে। কয়েক দিন ধরেই সমাজমাধ্যমে যে ভাবে লাগাতার সমালোচনার মুখে পড়েছেন, তার জেরেই এমন সিদ্ধান্ত অভিনেত্রীর!