(বাঁ দিকে) আয়ুষ্মান খুরানা (ডান দিকে) আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
১৫ অগস্টে পা দিল ভারতবাসী। ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস। জেগে রয়েছে কলকাতার রাজপথ। দাবি আরজি কর-কাণ্ডে মৃতা চিকিৎসকের অপরাধীদের শাস্তি। মহিলারা রাজপথে নেমেছেন বিচারের দাবিতে। কলকাতা তথা বাংলা সিনেমার তারকারাও যেমন বৃহস্পতিবারের এই প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছেন, তেমনই গর্জে উঠেছেন বলিউড তারকা আয়ুষ্মান খুরানা ও অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। মৃতা পড়ুয়া চিকিৎসকের জন্য কবিতা পাঠ করলেন অভিনেতা আয়ুষ্মান। নির্ভয়ার পর আবারও এমন এক ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করলেন কন্যাসন্তানের মা আলিয়া।
আয়ুষ্মান একটি ভিডিয়োয় তাঁর লেখা কবিতা পাঠ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি যদি ছেলে হতাম, তবে আমিও দরজায় ছিটকিনি না দিয়ে ঘুমোতে পারতাম। আমি যদি ছেলে হতাম, তা হলে ঘুরে বেড়াতাম সারা রাত। সকলের মুখে শোনা যায়, মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। আজ যদি চিকিৎসক না হতাম, তবে এ ভাবে মাকে চোখের জল হয়তো ফেলতে হত না। ৩৬ ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ, পুরুষদের লালসার স্বীকার হলাম। যদি ওই পুরুষগুলোর মধ্যে ন্যূনতম নারীসত্তা থাকত। ভাবছি যদি আমি ছেলে হতাম, তা হলে বেঁচে থাকতাম।”
আলিয়া লেখেন, “আরও একটা ধর্ষণ, বুঝলাম মেয়েরা কোথাও সুরক্ষিত নয়। এক দশক আগে নির্ভয়াকাণ্ড নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। আবার একই ঘটনা, কিছুই বদলায়নি। আমরা কী ভাবে আমাদের কর্মস্থলে যাব? এই চিন্তাই যেন কুরে কুরে খাচ্ছে। এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মহিলাদের সুরক্ষা আসলে তাঁদের নিজেদের হাতেই তুলে নিতে হবে।’’