আরিয়ান খান এবং প্রভাকর সেইল
আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)-র তরফে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। রবিবার এমনই দাবি করেছিলেন এই মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইল। সোমবার এনসিবি-র পাল্টা দাবি, প্রভাকর নাকি মেজাজ হারিয়ে হিংস্র হয়ে উঠেছেন। মাদক-মামলা সংক্রান্ত বিশেষ আদালতকে এমনটাই জানল এনসিবি।
নিজেকে পলাতক সাক্ষী কিরণ পি গোসাভির দেহরক্ষী বলে পরিচয় দিয়ে প্রভাকর দাবি করেছিলেন, তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে ফাঁকা পঞ্চনামায় সই করিয়েছেন। কিরণ আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে তাঁকে ১৮ কোটি টাকা দেওয়া হবে, তদন্তকারী অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের তরফে এমন প্রস্তাব এসেছিল বলে দাবি করেছিলেন তিনি। সমীর ওয়াংখেড়়ের থেকে বিপদের আশঙ্কাও করছেন বলেও দাবি প্রভাকরের।
এনসিবি যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে লেখা হয়েছে, ‘গত কাল প্রভাকর সেইল যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে এ কথা স্পষ্ট যে, তিনি হিংস্র হয়ে উঠেছেন।’ আরও একটি হলফনামা জমা দিয়েছেন এনসিবি-র আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে।
প্রসঙ্গত, কিরণ-ই সেই ব্যক্তি, যিনি এনসিবি-র হেফাজতে আরিয়ানের সঙ্গে নিজস্বী তুলেছিলেন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল কিরণ এনসিবি-র লোক। তার পরই বিতর্ক দানা বাঁধে। এনসিবি-কে বিবৃতি দিয়ে জানাতে হয় কিরণ তাদের কেউ নন। বরং কিরণকে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী হিসেবে তুলে ধরা হয়। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক কিরণ। তার মধ্যেই রবিবার আরও একটি ভিডিয়ো ফাঁস হয়েছে, যাতে দেখা গিয়েছে আরিয়ান এনসিবি-র হেফাজতে থাকাকালীন নিজের ফোন থেকে শাহরুখ-পুত্রকে কারও সঙ্গে কথা বলাচ্ছেন গোসাভি।
যদিও এনসিবি-র পাল্টা দাবি, এই সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা এবং তদন্তকারী সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। সংস্থার যুক্তি, দফতরে নজরদার ক্যামেরা রয়েছে। এ সমস্ত কিছু ঘটার কোনও সম্ভাবনা নেই।