অর্জন ও অংশুলা (বাঁ দিকে), জাহ্নবী ও খুশি (ডান দিকে)
এক পরিবার হতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন অর্জুন। কিন্তু একইসঙ্গে এই কথাও জানিয়েছিলেন, সৎ বোন জাহ্নবী কপূর এবং খুশি কপূরের সঙ্গে আগের থেকে অনেক বেশি সহজ হয়েছেন তিনি। জাহ্নবী-খুশির মা শ্রীদেবীর মৃত্যুর পরে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছেন তাঁরা। সত্যিই তাই। এর আগে চার সৎ ভাই-বোনের এত ছবি একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন নেটমাধ্যমে চোখ রাখলে বোঝা যাবে, বনি কপূরের চার সন্তান দ্বন্দ্ব ভুলে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন অনেক বেশি।
শনিবার অর্জুনের নিজের বোন অংশুলার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি ছবি দেখতে পাওয়া যায়। দু’জনের হাত, তাতে ‘পাজল’-এর একটি করে গুটির ছবি আঁকা। ছবির সঙ্গে লেখা, ‘তোমাকে ভালবাসি।’ নীচে হ্য়াশট্যাগ দিয়ে লেখা, ‘আমরা একে অপরের পরিপূরক’। একটি হাত যে অংশুলার, তা স্পষ্ট। কিন্তু অপর হাতটি? অংশুলার সৎ বোন এবং কপূর পরিবারের সব থেকে ছোট কন্যা খুশির হাত অন্য পাশে।
খুশিও সেই ছবির মন্তব্যে দিদির প্রতি ভালবাসা জানিয়েছেন। দুই সৎ বোনের ভালবাসা দেখে আপ্লুত নেটাগরিকরাও। মন্তব্য বাক্স ভরে উঠেছে ভালবাসার চিহ্নে।
অভিনেতা বনি কপূর ও তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী মোনা কপূরের দুই সন্তান অর্জুন কপূর এবং অংশুলা। কিন্তু মোনার সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটার পরে ১৯৯৬ সালে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন বনি। ১৯৯৭ সালে শ্রীদেবী ও বনির প্রথম কন্যা জাহ্নবীর জন্ম। ২০০০ সালে জন্ম হয় শ্রীদেবীর ছোটকন্যা খুশির জন্ম হয়।
অর্জুন নিজের মুখেই জানিয়েছিলেন, তাঁর বড় হয়ে ওঠা সহজ ছিল না। অনেক বাধা পেরতে হয়েছে।ছোটবেলায় তাঁকে দেখতে হয়েছে, বাবা তাঁদের মাকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করছে। সেই নিয়ে স্কুলের বন্ধুদের কাছে কটাক্ষ শুনতে হত। ‘নতুন মা’-এর সম্পর্কে জানতে চাইত তাঁর বন্ধুরা। তার পরে অর্জুনের প্রথম ছবি ‘ইশকজাদে’ মুক্তি পাওয়ার আগেই তাঁর মা মোনা প্রয়াত হন। তাই আজও বাবার বিয়ে ও সৎ বোনেদের নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে বলে সাফ জানিয়েছেন বলি অভিনেতা। একইসঙ্গে কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি এও জানিয়েছিলেন যে তাঁদের পরিবার সুখী নয়। এক হয়ে উঠতে পারেননি তাঁরা।