অনুপম রায় ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
‘আমাকে খুঁজে দে জলফড়িং’ ৮ বছর আগে এই গানে মেতেছিলেন বাংলার শ্রোতা। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘হেমলক সোসাইটি’-র জন্য এই গানটি বানিয়েছিলেন সুরকার ও গায়ক অনুপম রায়। গানটি এমনই বিখ্যাত হয়ে যায় যে টানা এই ৮ বছর ধরে তাঁকে মঞ্চে গানটি গেয়ে শোনাতে হয়েছে শ্রোতাদের। হাঁফিয়ে উঠেছেন অনুপম রায়। তাই যখন পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এই গানটির দ্বিতীয় ভার্সনের জন্য তাঁর সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর মনে হয়ছিল— ‘‘আবার জল ফড়িং! নতুন কিছু করার নেই তো।’’ জানালেন খোদ গায়ক ও সুরকার।
১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবসের দিন মুক্তি পেতে চলেছে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘প্রেম টেম’। ছবিটির একটি গান আজ মুক্তি পেল, যার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘জলফড়িং ২.০’। গানটি সেই পুরনো বিখ্যাত গানটিই। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, কলেজের ফেস্টে অনুপম রায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘জলফড়িং’ গাইছেন।
কেন সেই পুরনো গানটিকেই পছন্দ করা হল?
সুরকারের স্পষ্ট দাবি, আমি পছন্দ করিনি গানটা। আমি চাইওনি যে ওটাকে রিক্রিয়েট করা হোক। কারণ, আমার এই কাজটা করতে বিরক্ত লাগে। অনিন্দ্যদা কেন সেটা চাইছিলেন সেটা বুঝতে পারছিলাম না। রাজি হইনি অনেক দিন। তার পরে অবশ্য অনিন্দ্যদার জোরাজুরিতে এটা করতে হয়। পরে বুঝেছি যে ওই দৃশ্যটি তৈরি করতে হলে পুরনো কোনও জনপ্রিয় গানই লাগত। না হলে কলেজ ফেস্টে গিয়ে নতুন গান গাইলে পড়ুয়ারা একাত্ম হতে পারত না।’’
অনুপমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, যেটা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সেটা ভীষণ বাস্তব। পড়ুয়াদের ভিড়টা নকল নয়। শ্রীরামপুর কলেজের পড়ুয়াদের দিয়েই করানো হয়েছে। সুরকারের মন্তব্য, ‘‘সত্যিই তাঁরা অপূর্ব অভিনয় করেছেন সকলে। কলেজ ফেস্ট আমেজটা আনতে পেরেছেন তাঁরা।’’
অভিনয় করে কেমন লাগল সুরকারের?
খুব মজার লেগেছে অনুপম রায়ের। নিজের চরিত্রেই অভিনয় করতে হয়েছে তাঁকে। তবে একটা জিনিসে খুব একঘেয়ে লাগছিল তাঁর। বার বার একই গান গাইতে হচ্ছিল। নানা দিক থেকে শ্যুট করা হবে বলে ‘জলফড়িং’-টাই গাইতে বলা হয়েছিল। শ্যুটিংয়ের একঘেয়ে দিকটা ভাল করে বুঝতে পেরেছেন তিনি।
‘হেমলক সোসাইটি’ ছবিতে অনুপম রায় এই গানটি গাইয়েছিলেন শিলাজিৎ মজুমদারকে দিয়ে। আর এ বার নিজেই এই গানটি গাইলেন। কার গলায় গানটা বেশি ভাল লাগল তাঁর?
এক মুহূর্ত না ভেবে উত্তর দিলেন অনুপম। ‘‘অবশ্যই শিলাজিৎদার গানটা! ছোট থেকেই ওনার গানে নেশা ছিল। ও রকম মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট, ও রকম গলা আহা!" আর তাই নিজেকে পিছনে রেখে শিলাজিৎ মজুমদারকেই শিরোপা দিলেন অনুপম রায়।