অঙ্কিতা-ভিকি। ছবি: সংগৃহীত।
জুটি হিসাবে ‘বিগ বস্’-এর ঘরে প্রবেশ করেছিলেন টেলিভিশন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখন্ডে এবং তাঁর স্বামী ভিকি জৈন। সলমন খানের সেই রিয়্যালিটি শোয়ে পা রাখার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে তাঁদের দাম্পত্য জীবন। ‘বিগ বস্ ১৭’-এর ঘরে একের পর এক অশান্তি অঙ্কিতা এবং ভিকির মধ্যে। ঝগড়া থেকে শুরু করে একে অপরের প্রতি কটূক্তি করা— কোনও কিছুই বাদ রাখেননি তাঁরা। এমনকি, ‘বিগ বস্’-এর ঘরের সব প্রতিযোগীর সামনে ভিকির কাছে অপমানিত হওয়ার পর তাঁকে বিচ্ছেদের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন অঙ্কিতা। তাতেও বাগে আসেননি ভিকি। সম্প্রতি আবার অঙ্কিতার সঙ্গে নিজের বিয়েকে ‘বিনিয়োগ’ বলে দাবি করেছেন তিনি! এ বার ‘বিগ বস্’-এর ঘরেই অঙ্কিতা জানালেন বিয়ের আগে থেকেই নাকি অঙ্কিতার সঙ্গে অশান্তি করতেন ভিকি।
সম্প্রতি অঙ্কিতা জানান, তাঁদের বিয়ের বছর খানেক আগে নাকি বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন ভিকি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘একটা গোটা বছর ওর খোঁজ পাইনি আমি। তার পর ও যখন ফিরে এল, তখন আমরা জানতাম, যে আমরা বিয়ে করছি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার দোষেই ভিকি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল।’’ অঙ্কিতা আরও বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে সিনেমার মতো একে অপরকে আংটি পরিয়ে প্রোপোজ় করার বিষয়টাই হয়নি। ভিকি আর আমি সোজাসুজি বিয়ে করার কথাই ভেবেছিলাম।’’
সম্প্রতি ‘বিগ বস্ ১৭’-র ঘরে অন্যতম প্রতিযোগী ইশা মালব্যের সামনে অঙ্কিতার সঙ্গে নিজের প্রেম এবং বিয়েকে ‘বিনিয়োগ’ বলে দাবি করেন ভিকি। অঙ্কিতা সেই সময় কিছু না বললেও পরে ভিকিকে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘আমার সঙ্গে তোমার আলাপটাও তুমি বিনিয়োগ বলে মনে করো?’’ ভিকি বলেন, ‘‘আমি চাই আমার পরিশ্রমকে লোকে মান্যতা দিক। আমি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যে কাজ করি, আমি এখনও পর্যন্ত যা কিছু অর্জন করেছি— সেটা আমার বিনিয়োগের ফসল।’’ অঙ্কিতা ভিকিকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আমার আর তোমার যে সম্পর্ক, সেটা তো মনের টান থেকে তৈরি হওয়া। সেটা কী করে বিনিয়োগ হতে পারে? সেটা তো আমাদের দু’জনের ভাগ্য!’’ ভিকি উত্তর দেন, ‘‘আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি না।’’ ভিকির কাছে অপমানিত হয়ে ফের কান্নাকাটি শুরু করেন অঙ্কিতা।