Rupankar Bagchi

Rupankar-Aniket: রূপঙ্কর: মাচা বন্ধ হলে শিল্পীরা আত্মহননের পথ নেবেন ।। অনিকেত: শিল্পী এ কথা বলছেন?

পরিচালক বিস্মিত, এই সময় বাংলার অন্যতম গায়ক আত্মহননের কথা বলছেন! মানুষের জন্য গান গাইতে গাইতে আত্মহত্যার কথা বলছেন শিল্পী নিজেই!

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:২৪
রূপঙ্কর বাগচী এবং অনিকেত চট্টোপাধ্যায়।

রূপঙ্কর বাগচী এবং অনিকেত চট্টোপাধ্যায়।

করোনার চোখরাঙানিতে বন্ধ মঞ্চের অনুষ্ঠান। মাথায় হাত ছোট-বড় শিল্পীদের। প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে সোমবার আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁদের সঙ্গে। তখনই রূপঙ্কর বাগচীর আফশোস, এ ভাবে যদি নাগাড়ে চলতে থাকে তা হলে গান-বাজনা ছেড়ে শিল্পীরা অন্য পেশায় চলে যেতে শুরু করবেন। যাঁরা নতুন পেশার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন তাঁরাই টিকে যাবেন। যাঁরা পারবেন না বা কাজ খুঁজে পাবেন না, তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন! বুধবার রূপঙ্করের এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। ফেসবুকে তাঁর প্রশ্ন, ‘কোন শিল্পীদের কথা বলছেন রূপঙ্কর? গাঁয়ে-গঞ্জে যে সব শিল্পী আছেন?’ এই প্রশ্নের পরেই তাঁর কটাক্ষ, ‘যখন মাচা রমরম করে চলছিল তখন রূপঙ্কর কি তাঁদের জন্য কোনও কথা বলেছেন?’

তবে শুধু রূপঙ্কর নয়।মনোময় ভট্টাচার্যের প্রশ্ন ছিল, ‘‘আমরা খাব কী? আমি কার্যত হতাশ। জানি না, আর কত অনিশ্চয়তার দিকে মঞ্চশিল্পী এবং বাদ্যযন্ত্রীদের ঠেলে দেবে এই অতিমারি।’’ ইমন চক্রবর্তীও ফেসবুকে আক্ষেপ করেছেন, ‘শিল্পীদের বাঁচতে দিন।’ আফশোসের সুর অনুপম রায়ের কথাতেও, ‘‘কী বলব? কাকে দোষ দেব? সবই আমার কপাল! ডিসেম্বর থেকে সব কিছুই আবার ছন্দে ফিরছিল। বেশ কিছু শো-ও করলাম। ফের সেই এক অবস্থা।’’ রূপম ইসলামের যুক্তি, উৎসবের আগে শহর জনজোয়ারে না ভাসলে এই দিন দেখতে হত না। একটি করে উদযাপন আসবে আর মানুষ বেলাগাম হবেন। তার পরেই লকডাউনের চেনা ছবি। যার ছায়া পড়বে সাধারণের উপার্জনে, শিল্পীদের টিকে থাকার অস্তিত্বে।

Advertisement

এঁদের কেউই অবশ্য অনিকেতের লক্ষ্য নন! শুধু রূপঙ্করের উদ্দেশেই তাঁর শানিত বক্তব্য, এক জন সংবেদনশীল ব্যক্তি সমাজের ভরসা, মানুষের প্রেরণা। দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ উপার্জনহীন, অন্নহীন। শুধু চাকরির চেষ্টায় তাঁদের দিন কাটছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে অতিমারির তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা। পরিচালক বিস্মিত, এই সময় বাংলার অন্যতম গায়ক আত্মহননের কথা বলছেন! মানুষের জন্য গান গাইতে গাইতে আত্মহত্যার কথা বলছেন শিল্পী নিজেই! তার পরেই গায়ককে তাঁর পরামর্শ, ‘আত্মহনন পথ নয়, মানুষের হাত ধরুন রূপঙ্কর। এখনও আপনি সেই ১০-১৫ শতাংশ মানুষের দলে পড়েন যাঁদের মাথার উপরে ছাদ আছে। খাবার আছে, গাড়ি আছে। ফ্রিজ আছে।’ অনিকেতের বিশ্বাস, এই দুঃখ তিমির কেটে যাবেই।


আনন্দবাজার অনলাইন অনিকেতের মন্তব্য নিয়ে আবার যোগাযোগ করেছিল রূপঙ্করের সঙ্গে। রূপঙ্কর জানান, অনিকেতের পোস্ট দেখেননি তিনি। তার পরেই এক কথায় উত্তর দিয়েছেন, ‘‘অনিকেত যা বলেছেন এক দম ঠিক বলেছেন।’’

Advertisement
আরও পড়ুন