অনীক-জিতু
সত্যজিৎ রায় সম্ভবত ফিরছেন মে মাসে। সোমবার সে কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান এবং তাঁর প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন। এ দিন সংস্থার ফেসবুক পাতায় প্রকাশ্যে এসেছে অনীক দত্ত পরিচালিত 'অপরাজিত' ছবির প্রথম টুকরো ঝলক। মঙ্গলবার প্রকাশিত ছবির পোস্টার।
‘পথের পাঁচালী’র মতো কালজয়ী ছবি কী ভাবে তৈরি হয়েছিল? নেপথ্য কাহিনী কেউ জানে না। যেমন জানে না, ছবির পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা। অদেখা রায়-ঘরনি বিজয়ার নীরবে সত্যজিৎকে অনুপ্রাণিত করার প্রতিটি মুহূর্তও। সে সবই অনীক তুলে ধরতে চলেছেন তাঁর ছবিতে। কিংবদন্তি পরিচালকের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে।
সাদা-কালোয় তৈরি ঝকঝকে প্রচার-ঝলকে মূল আকর্ষণ নেপথ্য সঙ্গীত, রেললাইন, ছুটে চলা রেলগাড়ি, হাওয়ায় দুলতে থাকা কাশবন। আর একেবারে শেষে সত্যজিৎ রায়। সব মিলিয়ে বাঙালির ফের ‘জিয়া নস্টাল’। ছবিতে কিংবদন্তি পরিচালকের ভূমিকায় জিতু কমল। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। ১৩ মে-র জন্য দিনগোনা শুরু? জিতুর মতে, ‘‘ছবির শ্যুট শেষ হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। তখন থেকেই দিন গোনা শুরু করে দিয়েছি। আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’। পরিচালকের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’’
সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রের আবরণ সরিয়ে জিতু বেরিয়ে এসেছেন মাস চারেক হল। স্টার জলসার রিয়্যালিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’-সহ নানা কাজও করছেন। ফোনে জিতুর গলায়, কথার ভঙ্গিতে তবু যেন মহীরুহ চরিত্রেরই ছায়া! এ কথা জানাতেই অভিনেতা কবুল করলেন, ‘‘সত্যজিৎ রায়ের প্রভাব থাকুক আমার উপরে, মনেপ্রাণে আমিও চাই। ওঁকে ধারণ করতে গিয়ে একটি প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। বিশেষ নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে দিয়েও। আগামী দিনগুলোয় আরও উন্নতি করতে হলে এ সবের খুবই প্রয়োজন। আমি এখনও ওই বিশেষ ধারা মেনেই চলছি।’’