(বাঁ দিক থেকে) শাহরুখ খান, আমির খান, সইফ আলি খান, অমৃতা সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
শাহরুখ এবং আমির খানের সঙ্গে ছবি করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল সইফ আলি খানকে! বহু দিন আগের এই ঘটনা এখন সামনে এল। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কেউ নন, সইফের তৎকালীন স্ত্রী, বলিউডের নায়িকা অমৃতা সিংহ। ১৯৯১ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। বিচ্ছেদ ঘটে ২০০৪ সালে।
দীপক তিজোরি তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি ‘পহেলা নশা’তে শাহরুখ খান, আমির খান এবং সইফ আলি খানকে একসঙ্গে ক্যামিয়ো চেয়েছিলেন। পরিকল্পনা মতো তিন জন অভিনেতার কাছে অনুরোধও জানান তিনি। তিন ‘খান’ প্রস্তাব শুনেই রাজি হয়ে যান।
সইফের এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেননি অমৃতা। বেঁকে বসেছিলেন। সইফ যাতে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন, সেই চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি তিনি।
অমৃতা জানিয়েছিলেন, ছবির প্রিমিয়ারে যোগ দিয়ে সেই ছবির পাশে দাঁড়ানো যায়, তার জন্য ছবিতে অভিনয়ের প্রয়োজন পড়ে না। তবে সইফও ছিলেন নাছোড়বান্দা! অমৃতার কথায় কর্ণপাত করেননি শর্মিলা-পুত্র। শাহরুখ এবং আমিরের সঙ্গে ক্যামিয়ো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে সইফ যখন দীপককে অমৃতার বক্তব্য জানিয়েছিলেন, রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলেন দীপক।
সেই সময় বলিউডের অন্দরে ঈর্ষা ততটা ঢুকে পড়েনি। বরং নব্বইয়ের দশকে একে অন্যের ছবির পাশে দাঁড়াতেন বলি শিল্পীরা। বহু নামী শিল্পী ক্যামিয়ো চরিত্রে অবলীলায় অভিনয় করতেন, যাতে সেই ছবি আরও দর্শকের কাছে পৌঁছে যায়।
বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিতে স্বজনপোষণ, দলগত ব্যাপার-স্যাপার আকছার দেখা যায়। কিন্তু আগে এই ধরনের বিষয় ছিল না। শিল্পীরা সবাই বরং একসঙ্গে চেষ্টা করতেন, প্রতিটি ছবি যেন বক্স অফিসে সাফল্য পায়। ছবির কুশীলব ছাড়া অন্যান্য শিল্পীও ছবির সাফল্যের জন্য ক্যামিয়ো চরিত্রে অভিনয় করতেন।