(বাঁ দিকে) বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি মাসেই মুক্তি পাচ্ছে ‘শিবপুর’। এই ছবি ঘিরে একাধিক বিতর্ক এখনও টলিপাড়ায় টাটকা। কিন্তু ছবির পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য কিন্তু থেমে থাকতে রাজি নন। নতুন ছবি পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ছবির নাম ‘দুর্গাপুর জংশন’। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।
ছবি নিয়ে বিতর্কের জেরে অরিন্দমকে ‘শিবপুর’ ছবির প্রচার পর্ব থেকে দূরে রেখেছেন ছবির প্রযোজকরা। তা নিয়ে নিজের খারাপ লাগার কথা ব্যক্ত করতে এর আগে আনন্দবাজর অনলাইনকে অরিন্দম বলেছিলেন, ‘‘একটা ছবি তৈরি করতে গিয়ে মতপার্থক্য হতেই পারে। হয়তো ওঁরা আমার উপস্থিতি চাইছেন না। কিন্তু এট বুঝছেন না যে ছবি ভাল হলে দর্শক আমারই নাম করবেন।’’ ‘শিবপুর’ মুক্তির আগেই নতুন ছবির ঘোষণার কারণ কী? অরিন্দম বললেন, ‘‘কয়েক মাস আগে থেকেই এই ছবিটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছিল। তখনও ‘শিবপুর’-এর মুক্তির দিন চূড়ান্ত হয়নি। এটা নেহাতই কাকতালীয় ঘটনা।’’
ছবির জন্য আমেরিকার একটি সত্য ঘটানাকে পরিচালক দুর্গাপুরের প্রেক্ষাপটে সাজিয়েছেন। খুব বেশি খোলসা না করেই বললেন, ‘‘সিরিয়াল কিলিংয়ের একটি ঘটনার সঙ্গে ওষুধ এবং সায়ানাইডের যোগ ছিল। এফবিআই-এর কাছে কোনও সূত্র ছিল না। কিন্তু ৬ মাস পর হঠাৎই অপরাধী ধরা পড়ে।’’ এরই সঙ্গে পরিচালক চিত্রনাট্য লিখতে কল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন। মূল ঘটনা একটি মফস্সল শহরে ঘটেছিল এবং দুর্গাপুর শহরের সঙ্গে পারিবারিক যোগসূত্রের কারণেই এই শহরকে ঘিরেই ছবির গল্প বুনেছেন পরিচালক।
এই ছবিতে ছবিতে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রী ‘শিবপুর’ ছবির অন্যতম প্রযোজকের বিরুদ্ধে তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। চমক বাড়াতেই কি স্বস্তিকাকে নির্বাচন করলেন? অরিন্দমের যুক্তি, ‘‘প্রথমত, শুরু থেকে স্বস্তিকা আমাকে সমর্থন করে এসেছে। দ্বিতীয়ত, ‘শিবপুর’-এর ডাবিংয়ের সময়েই এই ছবির কথা স্বস্তিকাকে জানিয়েছিলাম। ও তখনই রাজি হয়ে যায়।’’
এর আগে ‘আমি ও আমার গার্লফ্রেন্ডস’ এবং ‘সাহেব বিবি গোলাম’-এর মতো ছবিতে স্বস্তিকা-বিক্রমকে পেয়েছেন দর্শক। তবে অরিন্দমের ছবিতে দুই অভিনেতাকেই নতুন ভাবে দেখা যাবে বলে দাবি করলেন পরিচালক। ছবিতে এক জন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা যাবে বিক্রমকে। অন্য দিকে, স্বস্তিকা অভিনীত চরিত্রটি এক জন সাংবাদিকের। ছবির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন একাবলি খন্না, রাজদীপ সরকার, প্রদীপ ধর প্রমুখ। পরিচালক নিজেই ছবিটি প্রযোজনা করছেন। কারণ জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘‘এক বার যা শিক্ষা পেয়েছি তার পর আমি আর ঝুঁকি নিতে রাজি নই।’’ আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে ছবির শুটিং। কলকাতা ছাড়াও লোকেশনের মধ্যে রয়েছে দুর্গাপুর এবং বোলপুর।