মহেশের সঙ্গে আলিয়া।
খান-কুমার-কপূরদের ভিড়ে ১০০ কোটির ক্লাবের সদস্য তাঁর ‘গঙ্গুবাই’। বলিউডে কাজ সারা তাবড় পরিচালকদের সঙ্গে। হলিউড যাত্রার প্রস্তুতি শুরু। বলা হয়, তিনি যাতেই হাত দেন, সোনা ফলে। মঙ্গলবার সেই আলিয়া ভট্টের ২৯তম জন্মদিন। অভিনেত্রী হওয়ার আগে কেমন ছিলেন তিনি? বিশেষ দিনে ফিরে দেখা যাক তাঁর শৈশব।
আলিয়ার শৈশব জুড়ে ছিলেন মা সোনি রাজদান। বাবা মহেশ ভট্ট তখন দূরের মানুষ। অতীতে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, “ছোটবেলায় বাবাকে আমার তারকা মনে হত। যে মাঝেমাঝে বাড়িতে আসে। আবার চলে যায়। বাবাকে সে ভাবে কখনও পাইনি। তাই ওর কথা বিশেষ মনেও পড়ত না।”
সন্তানদের দেখাশোনার যাবতীয় দায়িত্ব ছিল সোনির। শ্যুট নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন মহেশ। দুই মেয়েকে সময় দেওয়ার অবকাশ কোথায়! তবে পরিচালকের চেষ্টাতেই সেই ছবি বদলায়। কাজকে টপকে গুরুত্ব পায় পরিবার। আলিয়ার কথায়, “বাবা আমাদের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটাতে শুরু করল। আমরা সাপ লুডো খেলতাম। কিন্তু আমি কাজ শুরু করার পর আমাদের বন্ধুত্ব হল। এখন বুঝতে পারি এই ধরনের কাজ করতে গেলে কতটা সময় ব্যয় হয়।”
বাবাকে পাননি আর পাঁচটা শিশুর মতো করে। কিন্তু অভিযোগ নেই আলিয়ার। দিনরাত কাজ করে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন মহেশের থেকেই।