অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন তিন দশকেরও বেশি। ছবি আর তেমন হিট না হলেও অভিনয়ই ‘জীবন’ অক্ষয় কুমারের। অভিনয় থেকে সরে আসার কথা ভাবেননি। বরং ভাল কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে কানাডার নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন। যদিও কাজ করে চলেছেন বলিউডেই। ব্যর্থতা নিয়ে কিছুমাত্র হতাশ না হয়ে অক্ষয়ের সাফ কথা, “অভিনয় করতে ভাল লাগে, তাই করি।”
তাঁর সম্পর্কে ইন্ডাস্ট্রিতে নানা মজাদার কথা শোনা যায়। খুব দ্রুত নাকি সংলাপ মুখস্থ করে ফেলেন অক্ষয়! কাজও নাকি সেরে ফেলেন ঝটিকা সফরে। কী ভাবে এত তাড়াতাড়ি সব কিছু করেন অক্ষয়?
অক্ষয়ের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছিল গোপাল দত্তের। অক্ষয়ের প্রতিভার কথা জানা গেল তাঁর মুখেও। সম্প্রতি এক পডকাস্টে তিনি জানালেন, সহ-অভিনেতা হিসাবে অসাধারণ অক্ষয়।
গুজব রটেছিল, অক্ষয় নাকি তাঁর সংলাপের সূত্র লিখে রাখেন সহ-অভিনেতার কপালে। সেখান থেকে দেখেই নাকি দ্রুত রপ্ত করে ফেলেন। কাজ এগোয় তাড়াতাড়ি!
গোপাল বললেন, “না না, একদম সত্যি নয় এটা।” অক্ষয়ের সঙ্গে কাজ করতে দারুণ লেগেছিল, মজা হয়েছিল খুব। গোপালের কথায়, “দুপুর ২টোর মধ্যে কাজ শেষ করতে চাইতেন অক্ষয়। কিন্তু কাজ শুরুও করতেন সবার আগে। ভোর ৫টায় চলে আসতেন শুটিংয়ে। দুপুরের মধ্যে শেষ।”
তাড়াতাড়ি সেটে পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারে সুনাম আছে অক্ষয়ের। সময়ের সদ্ব্যবহার করতে দক্ষ তিনি। পরিচালক আনন্দ এল রাই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “অনেক কম সময়ের মধ্যে অক্ষয় অন্য অভিনেতাদের তুলনায় অনেক বেশি কাজ করতে পারেন। সেই কারণেই বছরে এতগুলো ছবি করতে পারেন অক্ষয়। ”
অক্ষয় নিজে বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে, “মাত্র ৮ ঘণ্টা আমি শুটিংয়ের সেটে থাকি। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে এক মুহূর্তও ভ্যানিটি ভ্যানে বসে থাকি না। ফ্লোরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি। আমার ৮ ঘণ্টা আসলে ১৪-১৫ ঘণ্টার সমান। ছবির প্রতি আমার দায়বদ্ধতা এতটাই।”
অক্ষয়কে শেষ দেখা গিয়েছে ‘সেলফি’ ছবিতে। যদিও বক্স অফিসে ছবিটি দাগ কাটতে পারেনি। তার আগে ‘রামসেতু’ এবং ‘রক্ষাবন্ধন’-এর মতো ছবিও সফল হয়নি। তা-ও আবার নতুন কাজের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন ‘খিলাড়ি’।