Aindrila Sharma

‘ভাল নেই, আমার মেয়ে সত্যিই ভাল নেই’, কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন ঐন্দ্রিলার মা

১৯ দিন হয়ে গেল। সংগ্রাম জারি। প্রতি মুহূর্ত কাটছে উদ্বেগে।শনিবার রাতে বেশ কয়েক বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। ছোট মেয়ে ঐন্দ্রিলার অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। কী বললেন মা শিখা?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ১১:১০
সঙ্কটজনক অবস্থায় ঐন্দ্রিলা, কাঁদতে কাঁদতে কী বললেন অভিনেত্রীর মা?

সঙ্কটজনক অবস্থায় ঐন্দ্রিলা, কাঁদতে কাঁদতে কী বললেন অভিনেত্রীর মা? ফাইল-চিত্র।

প্রতি মুহূর্ত কাটছে অনিশ্চয়তায়। চিকিৎসকরাই জানিয়েছেন, চরম সঙ্কটজনক ঐন্দ্রিলা শর্মা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাতে অন্তত ১০ বার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) হয়েছেন অভিনেত্রী। শেষ ১৯টা দিন চোখের পাতা এক করতে পারেননি শিখা শর্মা, অভিনেত্রীর মা। সেই যে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ১ নভেম্বর, তার পর থেকে যুদ্ধ জারি। ঐন্দ্রিলা কেমন আছেন, তার খোঁজ নিতে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় অভিনেত্রীর মায়ের সঙ্গে। বেশ কয়েক বার ফোন বেজে যাওয়ার পর অবশেষে ফোন ধরেন তিনি। একরাশ হতাশা গ্রাস করে। কান্না যেন জমাট বেঁধেছে গলায়।

শিখা বলেন, “আমি কারও ফোন ধরছি না। হাসপাতালেই আছি। আর কোথায় যাব আমি এখন! সবাই তো সব কিছু জানেন, আমি কিছু বলার অবস্থায় নেই। ভাল নেই, আমার মেয়েটা সত্যিই ভাল নেই। ভেবেছিলাম এটা স্বাস্থ্যভবন থেকে ফোন, তাই ধরলাম। কিন্তু দয়া করে আমায় কেউ ফোন না করলেই ভাল হয়।” কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন তিনি। প্রায় এক মাস হতে চলল বেঁচে থাকার সংগ্রাম জারি অভিনেত্রীর।

Advertisement

সব রকম সাপোর্টে থাকা সত্ত্বেও তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। চিকিৎসকরা সারা ক্ষণ তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে জানা যায়, অভিনেত্রীর রক্তচাপ ওঠানামা করছে। সংক্রমণের জন্য চলছে কড়া কড়া ওষুধ। বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ঐন্দ্রিলা চোখ খুলছেন না। তাঁর সারা শরীর অসাড়। মুখের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। তার পর শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। সন্ধ্যায় এক বার ফের হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। ‘মাইল্ড কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয় তাঁর। তবে তার পরেও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল। কিন্তু রাতে পর পর দশ বার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেই থেকে তাঁর অবস্থা অতিসঙ্কটপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুন
Advertisement