‘জয় জয় দুগ্গা’ পুজোর গানের শুটিংয়ে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোয় ছবি মুক্তি পাবে, শুনলেই চনমনিয়ে ওঠেন অভিনেতা থেকে পরিচালক। ‘জয় জয় মা দুগ্গা’ পুজোর গান মুক্তিতেও সমান আনন্দ অনুভব শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার পুজোয় তাঁর মিউজ়িক ভিডিয়ো মুক্তি পেতে চলেছে। অভিনেত্রীর প্রথম লুক আনন্দবাজার অনলাইনের পাতায়। একটি ছবিতে তিনি জোড়হাতে দেবী প্রতিমার সামনে। শুটিংয়ের ফাঁকে মনের কোনও অপূর্ণ ইচ্ছে প্রকাশ করলেন দেবীর কাছে? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে শ্রাবন্তী বললেন, “মায়ের সঙ্গে মেয়ের কথা কি সবাইকে বলা যায়?” একটু থেমে জানিয়েছেন, দেবীর শক্তি প্রত্যেক নারীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। যাতে মেয়েরা একাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে পারেন, এটাই চেয়েছেন তিনি।
এ বছরের পুজো একটু অন্য রকম। আনন্দের পাশাপাশি আন্দোলন, প্রতিবাদ, বিষণ্ণতার ছায়ায় মোড়া। তবু এক বছর অপেক্ষার পরে চার দিনের উদ্যাপন। কথা শেষের আগেই শ্রাবন্তীর দাবি, “ঠিক এই কারণেই পুজোর গানে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। কারণ, অনেক লোক এই উৎসবের দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন। পুজোর ছবি, গানের হাত ধরে কলাকুশলী, অভিনেতাদের উপার্জন হয়। তাই ইচ্ছে না থাকলেও সংসার চালানোর কারণে আমরা কাজ করতে বাধ্য।” পাশাপাশি, পুজোর গানের শুটিং মানেই আগাম শারদীয়ার আমেজ। এই বিষয়টিও অস্বীকার করেননি তিনি। জানিয়েছেন, মণ্ডপে দেবীকে ফুল দিয়ে সাজানো, আরতি হচ্ছে, ঢাক বাজছে। ধুপ-ধুনোর গন্ধে পুরো পরিবেশ স্বর্গীয়। মন এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। যেন ইতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।
রাহুল বীর কুমার ঘোষের পরিচালনায় শ্রাবন্তীর পুজোর গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। ক্যামেরায় উজ্জ্বল ভট্টাচার্য। নায়িকার কথায়, “রাহুল আমার ছোট ভাইয়ের মতো। ওঁর নাচের স্টেপে পা মেলাতে মেলাতে মনে হচ্ছিল, এ বারের পুজোয় এই প্রজন্ম হয়তো আমার মতো করেই গানের তালে নেচে উঠবেন।” ‘সান ভেঞ্চার’-এর ব্যানারে সানি খান ও অনুপ সাহার প্রযোজনায় ‘জয় জয় মা দুগ্গা’ মুক্তি পাবে দিন কয়েকের মধ্যেই।