রূপালী ভট্টাচাৰ্য। ছবি: ফেসবুক।
অনেক দিন পর আবার ছোট পর্দায়। জ়ি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘আনন্দী’তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি। আনন্দে বুঁদ হওয়ার কথা অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচাৰ্যের। কিন্তু হল কই? সমাজমাধ্যমে লাগাতার হুমকিবার্তা পেতে পেতে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত অভিনেত্রী! আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে এই অভিযোগ তাঁর। রূপার দাবি, “প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও ফল মেলেনি। তারা নির্বিকার।”
কী কারণে হুমকিবার্তা পাচ্ছেন তিনি? কী হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে?
প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। জবাবে রূপা জানান, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুরু থেকেই তিনি শামিল। কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে নয়। ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে। তাঁর কথায়, “নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মতোই আমিও মেয়ে। বর্তমানে রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও মেয়ের সঙ্গে এই অঘটন ঘটতেই পারে। সেই জায়গা থেকেই প্রতিবাদ আমার।” তাঁর দাবি, প্রতিবাদে শামিল হওয়ার পর থেকেই সমাজমাধ্যমে কুৎসিত ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাঁর চরিত্র হনন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। অভিনেত্রী জানান, সে সব ভাষা তিনি মুখে আনতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, রূপা একসময় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
অভিনেত্রী বলেন, “এর পরেই সাইবার শাখায় ইমেল পাঠাই। কিন্তু কোনও উত্তর নেই।" নিরুপায় রূপা হুমকিবার্তার ছবি নিয়ে সমাজমাধ্যমেই কলকাতা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তাঁর দাবি, তাতেও ব্যর্থ তিনি। উল্টে হুমকিবার্তার পরিমাণ বেড়েছে বলেও অভিযোগ। বিভিন্ন ছদ্মনামে তাঁকে এই ধরণের অশ্লীলবার্তা পাঠানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। হতাশ রূপার বক্তব্য, “আদতে প্রশাসন চুপ থেকে অপরাধীদের মদত দিচ্ছে। তাই হুমকির পরিমাণ বাড়ছে।” পাল্টা প্রশ্নও করেছেন, “রক্ষক যদি দর্শক হয়, নিরাপত্তা দেবে কে? বিচার চাইব কার কাছে?”