ঋষি-দেবযানীকে নিয়ে লিখলেন প্রিয়া পাল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ঋষিদা, ছোট পর্দায় একসঙ্গে কাজের সুবাদে তুমি আমার টেলিপাড়াতুতো দাদা। খুব মজার মানুষ তুমি। সারা ক্ষণ কিছু না কিছু নিয়ে হয় ঠাট্টা করছ, নয়তো স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রসিকতায় মাতছ। সেই সঙ্গে আধুনিকমনস্কও। তোমাকে তাই কোনও দিন খারাপ লাগেনি। বরং, শুটিংয়ের অবসরে তোমার সঙ্গে আড্ডা দিতাম। সেই তুমিই নিজের স্ত্রী দেবযানী চক্রবর্তী সম্পর্কে এ ভাবে প্রকাশ্যে কুৎসা করলে! কেন? সমাজমাধ্যমে তোমার ভিডিয়ো দেখে কী প্রচণ্ড অবাক আমি! ঋষি কৌশিক এ ভাবে শোয়ার ঘরের গল্প বাইরে নিয়ে আসছেন?
মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়েছিল। কথা বলব বলে সঙ্গে সঙ্গে তোমায় ফোন করেছিলাম। ফোন বেজে গিয়েছে, উত্তর দাওনি তুমি। তার পর মেসেজ পাঠাই। জানি, দেখেছ। কিন্তু সাড়া দাওনি। সে দিনই আমার মনে হয়েছিল, কেউ কি কারও কাঁধে বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ের জন্য জোর করতে পারে? যার জেরে ১২ বছর তোমরা এক ছাদের নীচে দম্পতি হিসাবে কাটিয়ে ফেললে! ঋষিদা, আদৌ তোমাদের মধ্যে প্রেম ছিল? প্রেম নামক বিশেষ অনুভূতির অস্তিত্ব আদৌ কি এখন আর আছে?
তোমার বা অনেকের মনে হতেই পারে, এক জন পুরুষ নারীর বিরুদ্ধে সোচ্চার বলেই আমার আপত্তি। একেবারেই তা নয়। একই ভাবে এক জন নারী যদি এই কাজটি করে, তাতেও আমার তীব্র আপত্তি। তা হলে তো প্রেম, দাম্পত্য মিথ্যে হয়ে যায়! যাঁরা সত্যিই একটা সময় ভালবাসায় ছিলেন, তাঁরা কী করে প্রকাশ্যে একে অন্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন? ছেড়ে যাওয়া সম্পর্কের সম্মান রাখতেও বোধ হয় এ রকম কিছু করা উচিত নয়। আর যদি শুরু থেকে প্রেম না থাকে, তা হলে সেই সম্পর্কে গেলেই বা কেন ঋষিদা?
আমি তাই তোমাকে সমর্থন করতে পারছি না। আমি দেবযানীদির পক্ষে। যত বার মুখোমুখি হয়েছি, ভদ্র আচরণ পেয়েছি। এও জানি, অর্থ এবং কাজের দিক থেকে উনি যথেষ্ট আত্মনির্ভর। তার জন্য ওঁকে তোমার উপরে নির্ভর করতে হবে না। তাই অনুরোধ, এক ছাদের নীচে আজীবন না-ই থাকা যেতে পারে। তার জন্য একদা প্রিয়জনের গায়ে খামোকা কালি ছিটিয়ো না।