Esha Deol

ঋতুস্রাব হলেই বিপদ! ছোটবেলার স্মৃতি হাতড়ে কোন সত্য প্রকাশ করলেন এষা?

পরিবার তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব ছিল মহিলাদের হাতেই। মা হেমা মালিনীও ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৪
Esha Deol

এষা দেওল। ছবি: সংগৃহীত।

ঋতুস্রাব হলেই পরিবারে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন এষা দেওল। অভিনেত্রী জানান, এক সময়ে তাঁর পরিবারে ঋতুস্রাব নিয়ে নানা রকমে ছুৎমার্গ ছিল। ঋতুস্রাব চলাকালে তাঁর উপর বিভিন্ন নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হত বলেও জানান এষা।

Advertisement

পরিবারের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব ছিল মহিলাদের হাতেই। মা হেমা মালিনীও ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু ঋতুস্রাব নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা। এষা বলেছেন, “আমাদের মন্দিরে যাওয়া বা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা নিষেধ ছিল ঋতুস্রাবের সময়ে। ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পরে স্নান করে ও মাথার চুল ধুয়ে আবার পুজো করার অনুমতি মিলত। জানি এটা প্রগতিশীল ভাবনা নয়। কিন্তু যে বাড়িতে আমি থাকছি তার নিয়ম তো আমাকে মানতেই হবে।”

যৌনশিক্ষা নিয়েও কথা বলেন এষা। অভিনেত্রী জানান, তাঁদের স্কুলেই যৌনশিক্ষার পাঠ দেওয়া হয়। এষার কথায়, “আমাদের স্কুলে যৌনশিক্ষা দেওয়া হত সঠিক সময়ে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন অভিভাবকেরা তো থাকেনই যাঁরা অস্বস্তি বোধ করেন এগুলো নিয়ে কথা বলতে।”

এষার দিদিমা নাকি খুব কড়া ছিলেন। সকলের উপর তাঁর নজরদারি চলত। অভিনেত্রী বলেন, “আমার দিদিমা খুব কড়া ছিলেন। ছোট টপ বা ছোট স্কার্ট পরে বাইরে বেরোতে পারতাম না আমরা। বাড়ির ‘সিসিটিভি ক্যামেরা’ ছিলেন আমার দিদিমা। তিনি টিভি দেখতেন। কিন্তু যখনই আমি বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে আসতাম, ভাল করে খতিয়ে দেখতেন কারা কারা এসেছে। বন্ধুরাও খোলামেলা পোশাক পরে আসতে পারত না। বেশি রাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল।”

এই কারণে বাড়িতে মিথ্যে বলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যেতেন এষা। প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখতে গেলে তাঁদের সঙ্গে ‘কাকিদিদা’কে পাঠিয়ে দিতেন হেমা। সব মিলিয়ে বেশ রক্ষণশীল আবহের মধ্যে বড় হয়েছেন বলে জানান এষা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement