সুবিচারের আশায় মীর আফসার আলি। গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ডের মামলার প্রথম দিনের শুনানির পর দেশের শীর্ষ আদালত ২২ অগস্ট পর্যন্ত সময় চেয়েছে। একই সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে হাসপাতাল ভাঙচুর, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকারের কাছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ন্যায়বিচার আসবে? সিবিআই-এ আস্থা আছে? কী বলছেন অভিনেতা-সঞ্চালক মীর আফসার আলি? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। মীরের মতে, “২২ অগস্ট, অর্থাৎ আরও দু’দিন সময় চেয়েছে শীর্ষ আদালত। এই দুটো দিন আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। একই সঙ্গে আন্দোলন থামালে চলবে না।” তাঁর দাবি, অন্তিম রায় না আসা পর্যন্ত প্রতিবাদ চালিয়ে যেতেই হবে।
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশের উপরে আস্থা চলে যাওয়ার ফলেই তদন্তে সিবিআই যোগ। তাঁর কাছে এটা স্পষ্ট, বিচার প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত করার জন্যই এই পদক্ষেপ। এর আগে অন্যান্য মামলা অনেক ধীর গতিতে এগোতে দেখেছেন তিনি, দেখেছেন শহরবাসীও— মত মীরের। আরজি কর-কাণ্ড এর মধ্যেই শীর্ষ আদালতে উঠে গিয়েছে— এই পদক্ষেপকে তাই তিনি ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন। এর বেশি আপাতত মন্তব্য করতে চান না তিনি। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের শুনানি বা রায় বেরোনোর আগে কোনও নাগরিকই কিছু বলতে পারেন না। তাঁর বিশ্বাস, “এখানে কেউ একা দোষী নন। ঘটনাপ্রবাহ সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। আমি একা এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী নই। যাঁরা বুদ্ধিমান, তাঁরাও এই মতকেই সমর্থন জানাবেন। এখন দেখার, দোষীর শাস্তি হবে, না দোষীদের শাস্তি হবে? সকলে সে দিকেই তাকিয়ে।”
এই দু’দিন কি তা হলে প্রতিবাদী আন্দোলন স্থগিত থাকবে? প্রশ্নের জবাবে মীর বলেন,“কোনও ভাবেই আন্দোলন থামবে না। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে আন্দোলন একমাত্র হাতিয়ার। সকলে যেমন দফায় দফায় পথে নামছেন সে ভাবেই নামতে হবে।” প্রথম দিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মীরের মত, “আমার স্ত্রী সোমা ভট্টাচার্য পেশায় চিকিৎসক। ওঁদের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, এত সহজে ওঁরা কাজে ফিরবেন না।” কারণ মীরের স্ত্রীর যুক্তি, কোথাও ক্ষত তৈরি হলে রক্তপাত বন্ধ করতে ক্ষতস্থান চেপে ধরে থাকতে হয়। না হলে রক্তপাত বন্ধ হয় না। আরজি কর-কাণ্ডও তেমনই দগদগে একটি ক্ষত। যার নিরাময়ের আশু প্রয়োজন। তা না করে কাজে ফেরা মানে ক্ষত নিরাময়ে গাফিলতি। সেটি কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন চিকিৎসক সম্ভবত করবেন না।