জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
শনিবার রাত থেকে ইন্ডাস্ট্রির নিশানায় পরিচালক অরিন্দম শীল। রবিবার তার মধ্যেই কাঠগড়ায় নাকি অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়! সমাজমাধ্যমে ‘আমি ঝুমা’ প্রোফাইল থেকে আচমকা অভিযোগ, “জয়জিৎ, সবাই চেনে। মেসেজ করে লিখে সাইজ কত জানতে চায়!” ব্যস, এই একটা বার্তায় রবিবাসরীয় সকাল সরগরম। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে সমাজমাধ্যম উত্তাল। এই অভিযোগের পিছনে সারবত্তা কতটা? জানতে চেয়ে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। জয়জিতের পাল্টা প্রশ্ন, “আমাদের মূল লক্ষ্য আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ। যার সমাধান এখনও হয়নি। সেই আন্দোলনের মুখ ঘোরাতেই এত কিছু নয় তো?”
দক্ষিণী বা হিন্দি বিনোদন দুনিয়ার মতোই টলিউডে কর্মরত মহিলারাও নিরাপদ নন, এই অভিযোগ বহু পুরনো। মাঝেমধ্যেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার পর ধামাচাপা পড়ে যায়। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পরেই সমাজের বিভিন্ন স্তরে ঘটে চলা নারীনিগ্রহের মতো ঘটনা নতুন করে চর্চায়। একই ভাবে বিনোদন দুনিয়ার 'হ্যাশট্যাগ মিটু' আন্দোলনও নতুন করে শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় জয়জিতের নাম জুড়ে যাওয়ায় অভিনেতা হাসবেন না কাঁদবেন বুঝতে পারছেন না!
জয়জিতের কথায়, “তিনি নিজেকে অভিনেত্রী বলে দাবি করছেন। আমি তাঁর সঙ্গে কবে কাজ করলাম সেটাই মনে করতে পারছি না!” এ দিকে ‘আমি ঝুমা’ প্রোফাইল থেকে অভিযোগ উঠতেই তাঁর মন্তব্য বাক্সে অনেকেই তাঁকে সমর্থন জানিয়ে অভিনেতার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। সে প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “প্রচারের লোভে অনেকেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েন। এটাও সম্ভবত সেই দিকেই গড়াচ্ছে।”
জয়জিৎ আনন্দবাজার অনলাইনকে স্ক্রিনশট দিয়ে জানিয়েছেন, ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাঁকে ওই প্রোফাইল থেকে প্রথম বার্তা পাঠানো হয়। তিনি সাড়া দেননি। ফলে, বিষয়টি ওখানেই শেষ। সেই স্ক্রিনশট তিনি নিজের সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। অভিনেতার মন্তব্য বাক্সে তাঁর অনুরাগীকে, অভিযোগকারিণীকে নিজের বক্তব্যের সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। এর পরেই “এ বারের মতো জয়জিৎকে ছেড়ে দিচ্ছি”, এই মন্তব্য করে নীরব হয়ে যান ওই ‘স্বঘোষিত’ অভিনেত্রী।