‘মোহর’ ধারাবাহিকে মোহর আর শঙ্খ এবং ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়
কথার শুরুতেই রসিকতা, ‘‘চট্টোপাধ্যায় পদবিটা রয়েই গিয়েছে। অনায়াসে এখন অধ্যাপক চট্টোপাধ্যায় বলা যেতে পারে আমাকে।’’ হ্যাঁ, এটাই আপাতত ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের নতুন পরিচয়। শুক্রবার রাত ৮টার স্টার জলসার ‘মোহর’ ধারাবাহিকে ক্লাসও নেবেন ছাত্রীদের। অধ্যাপক রাহুল চট্টোপাধ্যায় নামে। সকাল থেকেই তাঁর সামাজিক পাতা জুড়ে জ্বলজ্বল করছে নতুন চরিত্রের ছবি।
এর আগে এই চ্যানেলেরই ‘প্রথমা কাদম্বিনী’ ধারাবাহিকে বিনির মেডিকেল কলেজের শিক্ষক হিসেবে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে। সেখানে তাঁর চরিত্রে নেগেটিভ শেডস ছিল। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়-শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিকে কেমন অধ্যাপক তিনি? ‘‘আমি শঙ্খর বড় শত্রু’’, আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন ভাস্বর। শঙ্খের সঙ্গে অতীত সম্পর্ক ভাল নয় রাহুলের। পুরনো বোঝাপড়া মেটাতেই সে পড়াতে এসেছে মোহরের কলেজে। এই কলেজেরই প্রধান শঙ্খ।
কলেজে পা দিয়েই শুরু অধ্যাপকের ‘দুষ্টুমি’। পড়ানোর পাশাপাশি ছাত্রী মোহরের প্রতিও তার বিশেষ নজর। মোহর আর শঙ্খের মধ্যে দূরত্ব তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে। ক্লাস ভর্তি ছাত্র। পড়াচ্ছেন ভাস্বরের মতো সুপুরুষ শিক্ষক। প্রেম আসবে না? হেসে ফেললেন অভিনেতা। জানালেন, অদূর ভবিষ্যতে কী হবে জানা নেই। তবে শ্যুটিং করতে গিয়ে নিজেই ভীষণ নস্টালজিক হয়ে পড়ছেন।
কী ভাবে? জবাব এল, ‘‘বারেবারে নিজের ছাত্রজীবন সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে। আমিও তো এ রকম ভাবেই একটা সময় বেঞ্চে বসতাম। শ্যুটিংয়ের খাতিরে আজ বেঞ্চের বিপরীতে। খুব মিস করছি কলেজের দিনগুলো।’’ স্মৃতি ঝালানোর ফাঁকে সেই সময়ে দেখা অধ্যাপকদের আচার-আচরণ প্রয়োজন মতো মিশিয়েও নিচ্ছেন নিজের অভিনয়ে, অকপটে জানালেন সে কথা।
কলেজ জীবনের ঘটনাও ভাগ করে নিলেন আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে, ‘‘আশুতোষ কলেজে পড়তাম। কলেজের নাটক দিয়েই অভিনয় জীবনের শুরু। আমাদের কলেজে কম্পাউন্ড বলতে কিছু নেই। সবটাই ক্লাস রুম। তাহলে রিহার্সাল করব কোথায়? পাশেই যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশন। ওর ভিতরে সবাই মিলে নাটকের মহড়া দিতাম। এক বার করে গার্ড তাড়া করত আমাদের। বাইরে বেরিয়ে আসতাম। গার্ড সরে গেলে আবার ভিতরে ঢুকে মহড়া শুরু।’’
ভাস্বরের কথায়, ওই ভাবে মহড়া দিয়ে গোটা একটা নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন তিনি আর তাঁর বন্ধুরা।