জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-তে অন্বেষা হাজরা।
‘চুনি পান্না’র পরে লম্বা গ্যাপ। তার পরেই ট্যাক্সি চালকের আসনে ‘চুনি’ অন্বেষা হাজরা। হাওড়া ব্রিজে ট্যাক্সি চালাতে দেখাও গিয়েছে তাঁকে। গাড়ি চালাতে চালাতে আনন্দের চোটে মনে মনে নাকি বলেওছেন, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়...।’ ব্যাপারটা কী? খোঁজ নিল আনন্দবাজার ডিজিটাল
প্রশ্নঃ সামাজিক পাতা বলছে, আপনিও বদলে গেছেন!
অন্বেষা:(হেসে ফেলে) একদম। বদলে গিয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভার হয়েছি। তবে যে দিন স্টিয়ারিং ধরেছিলাম সে দিনের কথা আর কী বলব!প্রাণ ভয়ে কুঁকড়ে একটুখানি। প্রাণ যেন গঙ্গাজল। দু’পাশ দিয়ে হুশ হুশ করে গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে। যা-তা অবস্থা।
প্রশ্নঃ সেখান থেকে ‘কাট টু’ জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’?
অন্বেষাঃ মুখ্য ভূমিকায়। পরিচালনায় স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। আপাতত শুধুই প্রোমো শ্যুট হয়েছে। সামাজিক পাতায় বেশ ভাল সাড়া পাচ্ছি। শ্যুটিং কবে থেকে শুরু হচ্ছে, কারা থাকছেন?কিচ্ছু জানি না।
প্রশ্নঃ ভক্তরা কী বলছেন?
অন্বেষাঃ আমার ভক্ত নেই! কিছু মানুষ আমায় ভালবাসেন। আমার অভিনয় পছন্দ করেন। তাঁরা নতুন ভূমিকায় দেখে বেশ খুশি।
প্রশ্নঃ ‘চুনি পান্না’র পর ড্রাইভিং শিখলেন? নিজের হাতে গাড়ি ধুয়েছেন?
অন্বেষাঃ ‘বৃদ্ধাশ্রম’ মেগায় অভিনয়ের সময়েই গাড়ি চালাতে শিখেছিলাম। সেই চালানো আর এই চালানোর মধ্যে যদিও বিস্তর ফারাক। প্রশিক্ষণ হত ভোর ৫টায়। তখন রাস্তা ফাঁকা। তাছাড়া, ট্রেনিং সেন্টারের গাড়িতে কন্ট্রোল, ব্রেক থাকত। তখন গাড়ি একটু গড়ালেই মনে হত কত ভাল গাড়ি চালাতে পারি! ট্যাক্সিতে পাওয়ার স্টিয়ারং নেই। বদলে গিয়ার, ক্লাচ, এক্সিলেটর, স্টিয়ারিং, সবই হার্ড। পুরো ঘেঁটে ‘ঘ’। ভীষণ শক্ত ব্যাপার। গাড়ি চালানো থেকে ধোওয়া। সবটাই খুঁটিয়ে শিখে নিচ্ছি।
প্রশ্নঃ মহিলা ট্যাক্সি চালক দেখেছেন?
অন্বেষাঃ পিঙ্ক ক্যাব দেখেছি। যদিও চড়িনি। সেখানে মহিলা ড্রাইভারও দেখেছি। তখন জাস্ট দেখেছি। এখন রাস্তাঘাটে এ রকম ড্রাইভার দেখলে খুঁটিয়ে দেখি। কী ভাবে তিনি চালাচ্ছেন, অনুসরণ করার চেষ্টা করছি।
প্রশ্নঃ মহিলা ট্যাক্সি চালক দেখলে ২১ শতকেও বাতাসে মন্তব্য ভাসে...
অন্বেষাঃ আর নারী দিবসে কত ভাল ভাল কথা সামাজিক পাতায় পোস্ট হয়। হাসিও পায়, রাগও হয়। ওই জন্যেই আমি নারী দিবসে ছবি, পোস্ট কিচ্ছু শেয়ার করি না। বছরের মাত্র একটা দিন নারীর!
প্রশ্নঃ আপনার চরিত্র নিয়ে বলবেন?
অন্বেষাঃ বড় লোকের মেয়ে। গান, নাচ, আঁকা, বাজনা সব জানে। কিন্তু অল্প অল্প। একটাই কাজ ভাল করে জানে। ট্যাক্সি চালানো। সেটাকেই সে পরে পেশা হিসেবে বেছে নেয়।
প্রশ্নঃ বাস্তবে বড় লোক বাড়ির কোনও মেয়ে এই পেশায় আসবেন?
অন্বেষাঃ আমি কেন আসছি সেটা জানতেই দেখতে হবে জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক।
প্রশ্নঃ এই প্রজন্মের সম্বন্ধে রটনা, তারা সব জানে অল্প অল্প। আপনি?
অন্বেষাঃ আমি লেখাপড়ায় খুব ভাল ছিলাম না। পারিবারিক ব্যবসার কিচ্ছু জানি না। অভিনয় জীবন সবে শুরু। সেটাও যে দারুণ পারি, কখনওই বলব না। এ বার আপনারাই বিচার করুন আমি কেমন! (হাসি)
প্রশ্নঃ দৃশ্যটা একটু বদলে যদি মহানায়কের বাইকের পিছনে আপনি বসতেন? সত্যিই ‘এই পথ যদি না শেষ’ হত?
অন্বেষাঃ (উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে) ঈশ্বরের সঙ্গে এক বাইকে চড়ার অভিজ্ঞতা হত! কী করে বর্ণনা দিই সেই অভিজ্ঞতার?