(বাঁ দিকে) মিমি চক্রবর্তী (ডান দিকে) আবীর চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
টলিউড তারকারা এমনিতেই নাকি বড্ড সাবধানী। সব ভাল ভাল বলতেই অভ্যস্ত তাঁরা। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে টলিপাড়ায় কোথাও কোনও ঝগড়া নেই, রেষারেষি নেই। তবে এ বার নিজের স্বভাবের বাইরে গেলেন অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়। টলিউডে ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ তারকাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। তাই লোকে বলে কোনও শত্রুও নেই তাঁর। অতীতে বেশ কয়েক বার তাঁকে ব্যোমকেশ রূপে দেখা গিয়েছে বড় পর্দায়। এ বার অবশ্য দুঁদে আইপিএসের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। সৌজন্যে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ছবি ‘রক্তবীজ’। এই ছবিতেই প্রথম বার মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে আবীরকে। প্রথম বার কাজ করেই মিমিকে নিয়ে আবীরের উপলব্ধি, ‘‘মিমি এমন, যাকে সহজে হজম করা যায় !’’
বরাবরই স্পষ্টবক্তা অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। বেশ একটা ডাকাবুকো ভাবমূর্তি রয়েছে অভিনেত্রীর। পর্দায় এবং বাস্তবে খুব বেশি ফারাক নেই। তবে বলে রাখা ভাল, ‘মিমিকে হজম করা শক্ত’ কথাটা আবীর বলেছেন মজার ছলেই। সম্প্রতি একটি মজার আড্ডায় বসেন ‘রক্তবীজ’ ছবির দুই অভিনেতা আবীর এবং ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁরা এই ছবির অভিনেতা- অভিনেত্রীদের নানা খাবারের সঙ্গে তুলনা করেন। সেখানেই মিমিকে আবীর পোলাও ও খাসির মাংসের সঙ্গে তুলনা করেন। বলেন, ‘‘মিমি হল পোলাও-খাসির মাংসের যুগলবন্দি, খেতে অনবদ্য। তবে হজম করতে না পারলে চাপ আছে।’’ আবীরের পাশেই ছিলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। খানিক হেসে যেন সম্মতি জানান তিনিও। অন্য দিকে আবীরকে রেজালার সঙ্গে তুলনা করেন প্রবীন এই অভিনেতা। আর দার্জিলিং চায়ের আভিজাত্যের সঙ্গে ভিক্টরের তুলনা করলেন আবীর।