অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম নামজাদা ফিল্মি পরিবারের সন্তান অভিষেক বচ্চন। অমিতাভ বচ্চন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা। কৃতী অভিনেত্রী হিসাবে জয়া বচ্চনের নামডাক কম নয়। পরিবারের ধারা বজায় রেখে বিনোদনের জগতেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন জুনিয়র বচ্চনও। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসাবে অভিষেক তাঁর। ‘গুরু’, ‘বান্টি অউর বাবলি’, ‘ধুম’, ‘লগা চুনরি মে দাগ’, ‘রাবণ’-এর মতো ছবি দিয়ে সাজানো তাঁর অভিনয় জীবন। সম্প্রতি তাঁর অভিনীত ‘ঘুমর’ প্রশংসিত হয়েছে দর্শক ও সমালোচকদের দ্বারা। তবে নিজের প্রথম ছবিতে অভিনয় করার আগে আস্ত একটা ছবির চিত্রনাট্য লিখে ফেলেছিলেন অভিষেক। তা সত্ত্বেও তৈরি করা হয়ে ওঠেনি সেই ছবি। তার নেপথ্যে নাকি রয়েছেন বিগ বি নিজে!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানান, তাঁর লেখা চিত্রনাট্য নাকি একেবারেই পছন্দ হয়নি বাবা অমিতাভের। সেই কারণেই নাকি আর সেই ছবি তৈরি করার পথে হাঁটেননি তিনি। অভিষেকের কথায়, ‘‘আমি আমার বন্ধু রাকেশের (রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা) সঙ্গে বসে আলোচনা করছিলাম যে কেউ আমাকে প্রথম সুযোগটা দিতেই চাইছেন না। দু’বছর ধরে অপেক্ষা করেও লাভ হয়নি কোনও। এ দিকে রাকেশও তখন আমাকে বলল যে, সবাই ওকে বিজ্ঞাপন শুট করতে উৎসাহ দিচ্ছে। কিন্তু ওর মন তখন ছবি তৈরি করায়। আমিই তখন ওকে বলি যে আমি ওর ছবিতে কাজ করব। রাকেশ রাজি হয়ে গিয়েছিল আমাকে নিয়ে ছবি করতে। আমার দু’জন মিলে একটা চিত্রনাট্য লিখেছিলাম, ‘সমঝোতা এক্সপ্রেস’।’’
অভিষেক জানান, ছবির প্রস্তুতি হিসাবে নিজের চরিত্রের ‘লুক’ পর্যন্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন তিনি ও রাকেশ। তার পর নাকি ছবির প্রযোজনার জন্য অমিতাভের কাছে গিয়েছিলেন তাঁরা। অভিষেক বলেন, ‘‘আমার বাবাকে যাঁরা চিত্রনাট্য পড়ে শুনিয়েছেন তাঁরা জানেন, বিষয়টা কতটা চাপের। কারণ বাবা কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দেন না। তিনি চুপ করে স্রেফ শোনেন। আমরা সেটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। রাকেশ ছবির মূল বিষয়টা শোনার পরও বাবা পুরো নীরব ছিলেন। তার পরে বাবা হঠাৎ বলে উঠলেন, ‘খুবই খারাপ চিত্রনাট্য’। তার পর তো বাবা আমাকে বেরিয়ে যেতে বলেন!’’ অভিষেক জানান, অমিতাভ তাঁদের পাশে না থাকার কারণে সব উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। তার পরে আর সেই ছবি তৈরি করা হয়েই ওঠেনি। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসাবে অভিষেক হয় জুনিয়র বচ্চনের। ২০০৯ সালে রাকেশের ‘দিল্লি-৬’ ছবিতে সোনম কপূরের সঙ্গে কাজ করেছিলেন অভিষেক।