পথে হল দেরি: ‘লাল সিং চড্ডা’
১৯৯৪ সালের অস্কার পাওয়া ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’। শুধু তাই নয়, টম হ্যাঙ্কস অভিনীত এই হলিউড ছবি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মনে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে। একই গল্প নিয়ে আবার দ্বিতীয় ছবি? ভাবতেই পারেননি আমির খান।
অতুল কুলকার্নি যখন ‘লাল সিং চড্ডা’-র চিত্রনাট্য নিয়ে আমিরের কাছে এলেন, শুরুতেই না করে দিতে যাচ্ছিলেন অভিনেতা। তার পর জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘১৫ দিনে স্ক্রিপ্ট লিখে ফেললে?’’ অতুল বলেছিলেন, ‘‘প্লিজ শুনে দেখো।’’
এ দিকে বছর ঘুরে যায়। কাজে-অকাজে দু'জনের প্রায়ই দেখা হচ্ছে কিন্তু চিত্রনাট্য পড়ার বিষয়ে আমির আর কিছুই জানান না। শেষে থাকতে না পেরে অতুল নিজেই প্রসঙ্গ তুললেন। তাঁর কথায়, ‘‘কয়েক বছর পর ওকে জিজ্ঞেস করলাম, আমরা কবে স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসছি? আমির বলল, তুমি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে তোমায় হতাশ করতে চাইনি। কিন্তু আমার বিশ্বাস, তুমি এত ভাল লিখতে পারো না যাতে ১৫ দিনের মধ্যে ‘ফরেস্ট গাম্প’ নিয়ে দ্বিতীয় আর একটি চিত্রনাট্য তৈরি হবে। তাই আমি শুনব না।”
এর পর অতুল অনুরোধ করেন, ‘‘তুমি এক বার পড়ে যা খুশি বলো। স্ক্রিপ্ট ছুড়ে ফেলে দাও, কিছু মনে করব না। কিন্তু না পড়ে বোলো না।’’
আমিরের ভাল লেগেছিল অতুলের চিত্রনাট্য। প্যারামাউন্ট-এর থেকে ‘ফরেস্ট গাম্প’ এর স্বত্ব কিনতে লেগেছিল আরও ১০ বছর।
‘লাল সিং চড্ডা’-র নির্মাণে এতখানি দেরি কেন— প্রশ্ন ওঠায় এই নেপথ্যকাহিনি ভাগ করে নিয়েছিলেন চিত্রনাট্যকার অতুল।
তার পর বলেন, ‘‘অবশ্যই চিত্রনাট্যের চেয়েও বেশি কৃতিত্ব আমিরের। চরিত্রটি শিখ। তবে আমি সমস্ত সংলাপ হিন্দিতে লিখেছিলাম। কিন্তু আমির আর অদ্বৈত (পরিচালক) মনে করেন, পঞ্জাবি ভাষায় কথা বলা উচিত। তাই আমার সংলাপগুলো পঞ্জাবি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল।’’
আগামী ১১ অগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে ‘লাল সিং চড্ডা’। ছবি নিয়ে উৎকণ্ঠা তো রয়েইছে। অদ্বৈত চন্দন জানান, এ ছবি বক্স অফিস মাতাতে পারবে কি পারবে না, সেটা পরের কথা। তবে নির্মাণের অধ্যায়টুকু মনে থাকবে।